আলিয়ার আইনজীবী বলেন, '' ভারসোভা থানায় ধর্ষণ, প্রতারণা, এবং প্রতারণা করে বৈধ বিয়ে ও প্ররোচিত করে সহবাসের অভিযোগ এনেছেন আমার মক্কেল। অভিযোগ করা হয়েছে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫, ৩৭৬ (কে) ৩৭৬ (এন) ৪২০ ও ৪৯৩ ধারায় । আশা করছি, খুব শীঘ্রই এফআইআর নথিভুক্ত করা হবে।'' সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নওয়াজ কোনও মন্তব্য করেননি।
সম্প্রতি, নওয়াজের থেকে বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে ৩০ কোটি টাকা দাবি করেছেন আলিয়া। বিপুল অঙ্কের অর্থের পাশাপাশি মুম্বইয়ের ইয়ারি রোডে ৪ বিএইচকে-র একটি ফ্ল্যাটও দাবি করেছেন। বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় আলিয়ার অভিযোগ, তিনি যখন নওয়াজের সঙ্গে বিয়ে করতে যাচ্ছিলেন, তখন অভিনেতা আরও একজনের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন। পাশাপাশি, নওয়াজ তাঁর গায়ে হাত না তুললেও, যে ধরনের চিত্কার ,অশান্তি করতেন, তা অসহনীয় হয়ে ওঠে। অভিনেতার মা, দাদার বিরুদ্ধেও গার্হস্থ্য় হিংসার অভিযোগ করেন আলিয়া। নওয়াজের দাদা শামাস আলিয়ার গায়ে হাতও তোলেন বলে অভিযোগ করা হয়। এসব ছাড়াও আলিয়ার কথায়, নওয়াজের কোনও বান্ধবী এলে, আলিয়া বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতেন। তাঁর সামনে দিয়েও নওয়াজের বান্ধবীরা তাঁর ঘর ঢুকতেন। আলিয়ার কথায়, নওয়াজের ভাইজি সাশা সিদ্দিকিও নাকি কাকা সাশা সিদ্দিকির বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন।
উল্লেখ্য, এর আগে নওয়াজের ভাই শামসউদ্দিনের বিরুদ্ধেও শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনেন আলিয়া। তা অস্বীকার করেন শামস। তাঁর পাল্টা অভিযোগ ছিল, শুধু আর্থিক ফায়দা লোটার জন্যই আলিয়া এটা করছেন। আলিয়া বলেছিলেন, '' ম্যাজিক ইফ ফিল্মস এলএলপি সংস্থায় নওয়াজ, শামস ছাড়াও আমি ২৫ শতাংশের অংশীদার। আমি যদি আমার কোম্পানি থেকে কোনও টাকা নিই, তাহলে সেটা কীভাবে শামসের টাকা হয়ে যেতে পারে? শামস তো নিজেই নওয়াজের টাকায় চলে। আমি আমার স্বামীর কাছ থেকে টাকা চেয়েছি। উনি ওনার ম্যানেজারের মাধ্যমে টাকা পাঠিয়েছেন, তারপর কীভাবে দাবি করতে পারেন, যে ওটা ওনার টাকা? আমি তো নওয়াজের স্ত্রী তাহলে কেন টাকা চাইতে হবে?'' এ ব্যাপারেও নওয়াজ এখনও মুখ খোলেননি।
N