নয়াদিল্লি: জন্মদিনের প্রাক্কালে বায়োপিকের ঘোষণা। আজ ৭৯তম জন্মবার্ষিকী কিংবদন্তি বলিউড অভিনেতা রাজেশ খান্নার (Rajesh Khanna)। জন্মদিনের আগের সন্ধ্য়ায় প্রযোজক নিখিল দ্বিবেদী (Nikhil Dwivedi) রাজেশ খান্নাকে নিয়ে বায়োপিক তৈরির কথা ঘোষণা করলেন, যাঁর জন্য আসলে 'সুপারস্টার' কথাটা শুরু হয়। 


ছবিটি তৈরি হবে গৌতম চিন্তামণির 'বেস্টসেলার' বই 'ডার্ক স্টার: দ্য লোনলিনেস অফ বিইং রাজেশ খান্না'-র (Gautam Chintamani's bestseller, 'Dark Star: The Loneliness Of Being Rajesh Khanna') ওপর ভিত্তি করে। এই প্রজেক্টের কথা বলতে গিয়ে নিখিল দ্বিবেদী জানান, 'হ্যাঁ, আমি গৌতম চিন্তামণির বই 'ডার্ক স্টার'-এর সত্ত্ব পেয়েছি এবং ফারাহ খানের (Farah Khan) সঙ্গে আমার কথা চলছে ছবিটি তৈরির জন্য। আপাতত এটুকুই বলতে পারি। এরপর যখনই কোনও বড় খবর আসবে, আমি শেয়ার করতে পেরে খুশি হব কারণ আমি রাজেশ খান্নার গল্পকে বড় পর্দায় নিয়ে আসার জন্য সত্যিই খুব উত্তেজিত।'


ছবির পরিচালনা করতে পারেন ফারাহ খান। তিনি বলেন, 'হ্যাঁ আমি গৌতমের বইটা পড়েছি, খুবই দারুণ। অবশ্যই একটি আকর্ষণীয় গল্প এটি। আপাতত এটা নিয়ে কথা বলছি তবে এর থেকে বেশি কিছু বলতে পারব না।' 


তাঁদের ঘোষণায় উচ্ছ্বসিত অনুরাগীরা। খবর বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজেশ খান্নার ভক্তরা তাতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে থাকেন। এক অনুরাগী লেখেন, 'তর সইছে না'। কারও কথায়, 'অনুগ্রহ করে এমন একজন অভিনেতাকে বেছে নিন যিনি তাঁর স্টারডমের সঙ্গে মিল রাখতে পারবেন।'


রাজেশ খান্না, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে তাঁর অনবদ্য যাত্রাপথে, ১৯৬৯-১৯৭১ সাল পর্যন্ত এই তিন বছরে ১৭টি পরপর সুপার-হিট ছবি দিয়েছিলেন। এগুলির মধ্যে টানা ১৫টি ছবি তাঁর একক সুপার-হিট ছবি ছিল।


আরও পড়ুন: Yellow Alert In Delhi: ওমিক্রন আতঙ্ক! দিল্লিতে সিনেমা হল-মাল্টিপ্লেক্স বন্ধের নির্দেশ


শোনা যায়, তাঁকে নিয়ে এমনই উন্মাদনা ছিল যে অভিনেতার মহিলা ভক্তরা তাঁকে রক্ত দিয়ে চিঠি লিখতেন, তাঁর ছবির সঙ্গে বিয়ে করতেন। ১৯৭৩ সালের মার্চ মাসে ডিম্পল কপাডিয়ার সঙ্গে রাজেশ খান্না গাঁটছড়া বাঁধলে ভক্তদের অনেকেই শোকস্তব্ধ হয়ে যান।


রাজেশ খান্নার একাধিক হিটের মধ্যে অন্যতম 'কটি পতঙ্গ' (Kati Patang), 'আনন্দ' (Anand), 'হাতি মেরে সাথী' (Haathi Mere Saathi), 'বাওয়ার্চি' (Bawarchi), 'অমর প্রেম' (Amar Prem)।


২০১২ সালের ১৮ জুলাই ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই থামে অভিনেতা রাজেশ খান্নার। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ২০১৩ সালে মৃত্যু পরবর্তী ভারতের তৃতীয় সামরিক সম্মান 'পদ্ম ভূষণ'-এ সম্মানিত করা হয়।