নয়া দিল্লি : কোনও আর্থিক তছরুপে জড়িত নন নোরা ফতেহি। তিনি এই মামলার 'শিকার'। অভিনেত্রীর মুখপাত্রের তরফে এক বিবৃতিতে এমনই দাবি করা হয়েছে। গতকালই ২০০ কোটি টাকা আর্থিক তছরুপ মামলায় নোরা-কে জিজ্ঞাসাবাদ করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। 


বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সংবাদমাধ্যমে যেসব অনুমান করা হচ্ছে, সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা নোরা ফতেহি-র তরফে কয়েকটি বিষয় ব্যাখ্যা করতে চাই। এই মামলার শিকার নোরা ফতেহি। তিনি এক জন প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে সহযোগিতা করছেন। তদন্তে সাহায্য করছেন অফিসারদের। আমরা এটা পরিষ্কার জানিয়ে দিতে চাই যে, তিনি কোনও আর্থিক তছরুপে জড়িত নন। অভিযুক্তকে ব্যক্তিগতভাবে তিনি চেনেন না বা কোনও যোগাযোগ নেই। তদন্তে সাহায্য করার জন্য তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছে ইডি।


সুকেশ চন্দ্রশেখর আর্থিক তছরুপের মামলায় গতকাল নোরা ফতেহিকে তলব করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। চেন্নাই নিবাসী সুকেশ চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন দিল্লির এক ব্যবসায়ী। তাঁর অভিযোগ, এক বছরে তাঁর থেকে ২০০ কোটি টাকা প্রতারণা করেছে সুকেশ চন্দ্রশেখর। সেই মামলাতে এর আগে ডাক পাঠানো হয়েছিল অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে।                             


ইডি সূত্রে জানা যায়, সুকেশ চন্দ্রশেখর মামলায় জ্যাকলিন ছাড়াও নোরার যোগও সামনে আসছে। এর আগে জ্যাকলিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছিল। চলতি বছরের শুরুর দিকে জ্যাকলিনের আগামী ছবি ভূত পুলিশের অন্যতম সহ অভিনেত্রী ইয়ামি গৌতমকেও সমন পাঠিয়েছিল ইডি। তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট অনুযায়ী ব্যাঙ্কে তাঁর আর্থিক লেনদেনে অসঙ্গতি পাওয়া যায় বলে দাবি করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থাটি।  


এর আগে ৩০ অগাস্ট ইডির দফতরে প্রায় ৫ ঘণ্টার ম্যারাথন জেরা করা হয়েছিল জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে। জ্যাকলিন সুকেশ চন্দ্রশেখর ও তাঁর প্রেমিকা লীনা পালের দ্বারা প্রচুর অঙ্কের টাকা খুইয়েছেন বলে জানা গিয়েছিল। জ্যাকলিনের সঙ্গে কথা বলে ইডি-র হাতে এসেছে বহু জরুরি তথ্য যার সাহায্য এই মামলার নিষ্পত্তি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল।