কলকাতা: বলিউডের সঙ্গে দাউদ যোগের অভিযোগ নতুন নয়। এর আগেও অভিযোগ করা হয়েছে যে, বলিউডের তাবড় তাবড় অভিনেতাদের সঙ্গে যোগ রয়েছে দাউদ ইব্রাহিমের (Dawood Ibrahim)। আর এই ঘটনায়, এবার নাম জড়াল শ্রদ্ধা কপূর (Shraddha Kapoor), নোরা ফতেহি (Nora Fatehi)-র মতো অভিনেত্রীদের। তাঁরা একা নন, নাম জড়িয়েছে অনেক বলিউড অভিনেতা অভিনেত্রীরও। তালিকায় রয়েছেন শ্রদ্ধা কপূরের দাদা সিদ্ধার্থ কপূর ও ওরিরও।
এই ঘটনায় এবার মুখ খুললেন, নোরা ফতেহি। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে নোরা ফতেহি লেখেন, 'বলা বাহুল্য.. আমি কোনও পার্টিতে যাই না। আমায় বছরের মধ্যে অধিকাংশ সময়েই ফ্লাইটে যাতায়াত করতে হয়। আমি ভীষণ ওয়ার্কোহলিক, সারাদিন নিজেকে কাডে ডুবিয়ে দিই। আমার ব্যক্তিগত জীবন বলে কিছু নেই। আমি সেভাবে লোকজনের সঙ্গে মিশি ও না! যে সময়টা আমি কাজ করি না, ছুটিতে থাকি, সেই সময়টা হয় আমি বাড়িতে থাকি। আর নাহলে দুবাইয়ে থাকি আমার স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে। আমি সারাদিন রাত কাজ করি আমার স্বপ্ন সফল করার জন্য। দয়া করে, যেখানে যা পড়ছেন তাই বিশ্বাস করে নেবেন না। আমার তো মনে হয়, আমার নামে দোষ দেওয়াটা সবচেয়ে সোজা। সেই কারণেই বারে বারে আমার নাম উঠে আসে। তবে এবার আমি আর সেটা হতে দেব না। এটা আগেও হয়েছে। আমার নামে কুৎসা রটানোর চেষ্টা করা হয়েছে, তবে সেটা হয়নি। আমি শুধু দেখছি, সবাই আমার নাম বিভিন্ন দিকে, বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহার করে নিজের নিজের ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে। দয়া করে এই সব বিষয়ে আমায় জড়াবেন না।'
সম্প্রতি মুম্বই পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রক দপ্তর একটি তল্লাশি চালায় আর সেই তদন্ত থেকেই উঠে আসে সেলিম ডোলার নাম। এরপরে জানা যায়, গোটাটাই একটি চক্র, সেটি চালিত হয় দুবাই থেকে। সংযুক্ত আরব আমীরশাহী থেকে গ্রেপ্তার করে ভারতে নিয়ে আসা হয়েছে তাহিরকে। সেলিমের পুত্র তাহিরকে সম্প্রতি জেরা করে পুলিশ। আর তাহিরকে তদন্ত করা হলে সেখানেই উঠে আসে শ্রদ্ধা কপূর, নোরা ফতেহির মতো একাধিক চাঞ্চল্যকর নাম। প্রায় ২৫২ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
তাহের জানিয়েছেন, ভারতে এবং বিভিন্ন জায়গায় মাদক পার্টির আয়োজন করেন দাউদ ইব্রাহিম। সেখানে উপস্থিত থাকেন শ্রদ্ধা কপূর থেকে শুরু করে নোরা ফতেহির মতো নামিদামি অভিনেত্রীরা। তবে শ্রদ্ধা একা নন, জানা গিয়েছে, তাঁর দাদা সিদ্ধার্থ কপূরও নাকি এই পার্টিতে নিয়মিত যান ও এই মাদক পাচারকারী চক্রের সঙ্গে যুক্ত। বছরখানেক আগে, একবার মাদককাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছিল শ্রদ্ধার দাদাকে। তবে পরে উপযুক্ত প্রমাণ না পাওয়ার জন্য তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এই চক্রে নাম জড়িয়েছে ওরি-রও। শোনা যাচ্ছে, এই অভিযোগের ভিত্তিতে শ্রদ্ধা, নোরা ও অন্যদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চের তরফ থেকে সমন পাঠানোর কথা।