কলকাতা: তাঁকে ঘিরে বিতর্কের শেষ নেই, তবুও যেন নিজের জীবনকে প্রতিদিন আরও একটু বেশি করে ভালোবাসার বার্তা দেন তিনি। নুসরত জাহান। সদ্য মা হয়েছেন তিনি। যশ দাশগুপ্তের সঙ্গে 'অভিভাবত্ব' ভালোই কাটাচ্ছেন তিনি। কিন্তু রোজই তাঁকে ঘিরে তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন বিতর্ক। আজ নিখিল ও তাঁর সম্পর্ক নিয়ে প্রকাশ্যে এসেছে বেশ কিছু অজানা তথ্য। তবে দিনের শেষে সোশ্যাল মিডিয়ায় নুসরত বলছেন, 'কেউ তোমায় বাঁচাতে আসবে না। নিজেকে ভালোবাসতে হবে নিজেই।'


আজ নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি বইয়ের পাতার ছবি আপলোড করেন তিনি। সেখানে লেখা, 'কেউ তোমায় বাঁচাতে আসবে না। কেউ তোমায় নিজেকে বেছে নেওয়ার অনুমতি দেবে না। এটা সম্পূর্ণভাবে তোমারই কাজ। নিজেকে নিজে ভালোবাসতে হবে, শক্ত হতে হবে। নিজের জন্য লড়াই করতে হবে, নিজের হাতে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে।' বিতর্কের মুখে দাঁড়িয়ে কঠিন হওয়ার প্রছন্ন বার্তা দিলেন নুসরত? উত্তর অজানা। তবে এর পরের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতেই দেখা গেল, মোমবাতির আলোয় নিজের শখের বারন্দাকে আলোকিত করে তুলেছেন তিনি। সময় কাটাচ্ছেন নিজের মত।




নুসরত জাহান ও যশ দাশগুপ্ত এখন চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে। জল্পনার অবসান ঘটিয়ে প্রকাশ্যে এসেছে নুসরতের সন্তানের পিতৃপরিচয়। পুরসভার বার্থ সার্টিফিকেটে নুসরত-পুত্র ঈশানের নামের পাশে পদবী লেখা দাশগুপ্ত। বাবার নামের জায়গায় লেখা রয়েছে দেবাশিষ দাশগুপ্ত। প্রসঙ্গত, ভোটের হলফনামায় নিজের নাম দেবাশিস দাশগুপ্ত বলে উল্লেখ করেছিলেন যশ। বার্থ সার্টিফিকেট অনুযায়ী নুসরতের সন্তানের নামকরণ করা হয়েছে ঈশান জে দাশগুপ্ত। এই তথ্যই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।


আজ ফের নতুন জল্পনা উস্কে দিয়েছে যশ-নুসরত-নিখিল গুঞ্জন। ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে সামনে এসেছে বিস্ফোরক তথ্য। প্রকাশ্যে এসেছে, যশের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন নুসরত। যদিও নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেননি যশ। তবে, গত সোমবার, অর্থাৎ ১৩ সেপ্টেম্বর নতুন ছবি 'চিনেবাদাম'-এর শ্যুটিং শুরু করেছেন যশ দাশগুপ্ত। ফ্লোর থেকে এবিপি লাইভের মুখোমুখি হয়ে যশ বলেছিলেন, 'আমি ঈশানকে ঈশান নামেই ডাকছি। ওই নামটা আমি আর নুসরত একসঙ্গেই ঠিক করেছি। তাই ওই নামেই ডাকছি। তবে হ্যাঁ, ওর এখনও উত্তর দেওয়ার বয়স হয়নি। খুব ছোট্ট তো। আর ওর ডাকনাম দেওয়া হয়েছে অংশ।'


অন্যদিকে সম্প্রতি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি ক্যাপশন শেয়ার করেন অভিনেত্রী সাংসদ নুসরত জাহান। পোস্টে লেখা, 'ইউ ক্যান নট মেক এভরিওয়ান হ্যাপি, ইউ আর নট এ জার অফ নাটেলা'। যাঁর বাংলা করলে দাঁড়ায়, 'তুমি কখনওই সকলকে একসঙ্গে খুশি করতে পারবে না, কারণ তুমি তো নাটেলার কৌটো নও।'