১৯৭২ সালে মরাঠি ছবি দিয়ে কাজ শুরু করেন তিনি। চলচ্চিত্রের পাশাপাশি মঞ্চেও অভিনয় করেছেন তিনি। কাজ করেছিলেন সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে। প্রসঙ্গত, নাসিরউদ্দীন শাহ, শাবানা আজমি, স্মিতা পাটিলের মতো একইসঙ্গে মূলধারার এবং সমান্তরাল দুধরনের ছবিতেই অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে ওম পুরীকে। এই অভিনেতাদের হাত ধরেই আশির দশকে ছবির জগৎে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছিল।
অভিনয়ের জন্য দেশে-বিদেশে অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন ওম পুরী। ১৯৫০ সালে হরিয়ানার আম্বালায় পঞ্জাবি পরিবারে জন্ম ওমপুরীর। তাঁর বাবা ভারতীয় রেল এবং সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
পুণের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটে পড়াশোনা করেছিলেন তিনি। দিল্লির ন্যাশলান স্কুল অফ ড্রামারও ছাত্র ছিলেন ওম পুরী। সেখানে তাঁর সহপাঠী ছিলেন অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ। ১৯৭২ সালে ওম পুরীর আত্মপ্রকাশ মরাঠি ছবি ‘ঘাসিরাম কোতয়াল’-এ। ‘অর্ধ সত্য’ ছবির জন্য পেয়েছেন শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জাতীয় পুরস্কার। অভিনয় করেছেন সত্যজিৎ রায়ের ‘সদগতি’ ছবিতে।
দুবার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন এবং ১৯৯০ সালে পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত হন ওম পুরী। তাঁকে শেষবার পর্দায় দেখা গিয়েছিল পাকিস্তানি কমেডি ছবি 'অ্যাক্টর ইন ল'-তে। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে পর্দায় মুক্তি পেয়েছিল এই ছবি। জঙ্গল বুকে ওম পুরী নিজের কন্ঠ দিয়েছিলেন 'বাঘিরা' চরিত্রের জন্যে। তাঁর মনে রাখার মতো বহু ছবির মধ্যে হৃদয়ে দাগ কেটে গেছে 'অর্ধ সত্য, 'আরোহন', 'দ্রোহকাল', 'জানে ভি দো ইঁয়ারো', 'মির্চ মশালা', 'পার'-এর মতো ছবিগুলো।
সম্প্রতি তাঁকে বলিউডি ছবি 'বজরঙ্গি ভাইজান' এবং 'ঘায়েল ওয়ানস এগেন'-এও অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে।
ওম পুরীর অন্যতম স্মরণীয় অভিনয় দেখা গিয়েছে মার্কিন কমেডি ড্রামা 'দ্য হানড্রেড ফুট জার্নিতে'। ২০১৪ সালে মুক্তি পাওয়া এই কমেডি ড্রামায় তাঁর সঙ্গে কাজ করেছিলেন স্টিভেন স্পিলবার্গ এবং হেলেন মিরেন। এছাড়া 'সিটি অফ জয়', 'গাঁধী', 'দ্য রিলাকট্যান্ট ফান্ডামেন্টালিস্ট'-এও তাঁর অভিনয় যথেষ্ট প্রশংসা পেয়েছে। ওম পুরী তাঁর অভিনয় প্রতিভার ছাপ রেখে গিয়েছেন মূলধারার পাকিস্তানি, ভারতীয় এবং ব্রিটিশ ছবিতেও।
তাঁর প্রয়াণে শোকাহত বলিউড থেকে টলিউড, নাট্যজগৎ থেকে রাজনৈতিক মহল। ওম পুরীর প্রয়াণে দেখে নেব বিভিন্ন ব্যক্তির প্রতিক্রিয়া