মুম্বই: বলিউডে দীর্ঘ কেরিয়ার রবিনা ট্যান্ডনের (Raveena Tandon)। অভিনয় করেছেন বহু ছবিতে। গত তিন দশক ধরে সিনেমা প্রেমীদের উপহার দিয়ে এসেছেন ভিন্ন ভিন্ন ধরনের ছবি। আর এবার তিনি পেলেন পদ্মশ্রী। প্রজাতন্ত্র দিবসে চতুর্থ উচ্চ নাগরিকত্ব পুরস্কার পেলেন অভিনেত্রী।


বলিউড অভিনেত্রী রবিনা ট্যান্ডন পেলেন পদ্মশ্রী-


১৯৯১ সাল থেকে বলিউড কেরিয়ার শুরু করেন রবিনা ট্যান্ডন। 'পাত্থর কে ফুল' ছবি দিয়ে শুরু হয় তাঁর বলিউড জার্নি। ছবিটি বক্স অফিসে দারুণ সাফল্য পায়। ব্লকবাস্টার হিট এই ছবির পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি রবিনা ট্যান্ডনকে। এরপর একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন। কখনও তাঁকে দেখা গিয়েছে 'লাগলা', 'আন্দাজ আপনা আপনা', 'আতিস', 'মোহরা' ছবিতে। কখনও আবার অভিনয় করেছেন 'ম্যায় খিলাড়ি তু আনাড়ি', 'দিলওয়ালে', 'ইমতিহান' ছবিতে। 'খিলাড়িও কা খিলাড়ি', 'রক্ষক', 'জিদ্দি', 'আন্টি নং ওয়ান', 'দুলহে রাজা', 'বড়ে মিঞা ছোটে মিঞা' মতো রোম্যান্টিক কমেডিতেও অভিনয় করেন।


নানা ধরনের ছবিতে অভিনয় করেছেন রবিনা ট্যান্ডন। কমেডি থেকে সিরিয়াস নানা চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মন জিতে নিয়েছেন। 'দামন- এ ভিক্টিম অফ ম্যারিটাল ভায়োলেন্স' ছবিতে অভিনয় করে বিশ্ব জুড়ে দর্শকদের প্রশংসা পেয়েছেন। রবিনা ট্যান্ডন সেরা অভিনেত্রীর জন্য পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কারও। পুরস্কার জয় প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, 'এটা সবসময়ই অসাধারণ একটা অনুভূতি যখন কারও কাজের প্রশংসা করে তাঁকে সম্মানিত করা হয়। এমন একটা সম্মানে সম্মানিত হওয়ার পর অসাধারণ অনুভূতি হচ্ছে। এটা আমার জার্নিকে স্বীকৃতি দিল। আমার কাছে এই সম্মান আমাকে আরও এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে। এটা আমার কাছে অত্যন্ত বিশেষ দিন। আমার দেশ আমাকে এভাবে সম্মানিত করেছে, আমি আপ্লুত। ধন্যবাদ ভারত।'


আরও পড়ুন - Rahul-Athiya Wedding: রাহুল-আথিয়ার বিয়ের অদেখা ছবি পোস্ট ভাই অহনের


প্রসঙ্গত, মুম্বইতেই জন্ম রবিনা ট্যান্ডনের। জুহুর স্কুল থেকে পড়াশোনা শেষ করেন তিনি। এরপর মুম্বইয়ের মিঠিবাই কলেজে ভর্তি হন। পড়াশোনা শেষ করে ইন্টার্নশিপ করতে করতেই প্রথম ছবির প্রস্তাব পান রবিনা। এক সাক্ষাতকারে অভিনেত্রী বলেছিলেন যে, 'আমি কখনও ভাবিনি যে অভিনেত্রী হব। জেনেসিস পিআর-এ তখন ইন্টার্নশিপ করছিলাম। প্রহ্লাদ কক্করের সহকারী হিসেবে কাজ করছিলাম। সেই সময় আমার লুক নিয়ে অনেকেই কথা বলতেন। আমার আশেপাশের লোকেরা আমার চেহারার প্রশংসা করতেন। কিন্তু আমাকে প্রথম সুযোগটা  দেন ফোটোগ্রাফার - পরিচালক শান্তনু শোরে। তিনি আমাকে ডেকে বলেছিলেন যে তিনি আমার সঙ্গে কাজ করতে চান। সেই  সময় মডেলরা অভিনয় জগতে আসতেন। আমি ওঁর প্রস্তাব ফিরিয়ে দিই। প্রহ্লাদ আমাকে বলেছিলেন সে সময় যে, 'কোটি কোটি মানুষ এই একটা অফার পাওয়ার অপেক্ষায় বসে থাকে। আর তুমি এই সুযোগটা পেয়েও তাতে রাজি হচ্ছো না!' তখন আমার মনে হয়েছিল, আমার তো হারানোর কিছু নেই। এরপরই 'পাত্থর কে ফুল' ছবিটা তৈরি হয়।'