কমল বলেছেন, এই ইস্যুতে আমরা অতিরিক্ত সংবেদনশীলতা দেখাচ্ছি। একজন ভারতীয় হিসেবে বলছি আমি। যে দেশে রাজনীতিকরা এক সময় মানুষকে সামনে এগিয়ে দিয়েছিলেন... এর মানে এই নয় আমি এত মানুষকে স্রেফ গুরুত্বহীন বলছি... শুধু বলছি কমল অনেক আছে কিন্তু অত মঞ্চ কই।
হে রাম ও বিশ্বরূপমের মত ছবির জন্য কমলকেও বহুবার হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে। তিনি বলেছেন, পদ্মাবতী নিয়ে যে সমস্যা দেখা দিয়েছে, তা নতুন কিছু নয়। হে রাম যখন মুক্তি পায়, কংগ্রেসের কারও স্রেফ পোস্টার দেখে মনে হয়েছিল, এটাকে নিষিদ্ধ করতে হবে। ছবিতে কী আছে তা তারা জানতই না। সেন্সর বোর্ডও বেশি সাবধান হয়েছিল। সার্টিফিকেশন বোর্ড আবার ব্যবহার করছিল সেন্সর বোর্ডের মত। জানিয়েছেন, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে প্রায় অর্ধ শতক কাটিয়ে দেওয়া কমল।
তাঁর কথায়, তাঁর সব ছবি কোনও না কোনও সমস্যায় পড়েছে, যার কারণ তিনি নিজেই জানেন না। কেউ একটা হয়তো এসএমএস পাঠাল, তারপর তা ছড়িয়ে পড়ল। মানুষ প্রথমেই নেতিবাচক খবর বিশ্বাস করে নেয়। এই প্রতিবাদ ঠিক না। পদ্মাবতী মুক্তি পেলে তা দেখার পর যদি লোকের সমস্যা হত... তাহলে তবুও মেনে নেওয়া যেত।
সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরদারির পক্ষেও ঘুরিয়ে মত দিয়েছেন কমল। তাঁর কথায়, যাঁরা এই মাধ্যম নিয়মে বাঁধতে চাইছেন, তাঁদের কিছু যুক্তি তো অবশ্যই আছে। এটা করা ঠিক নয়, তবে কেউ কেউ নিজের স্বাধীনতার বাড়াবাড়ি করছেন, হয়তো সে জন্যই সমালোচনার মুখে পড়ছেন তাঁরা।