কলকাতা: পিছিয়ে গিয়েছে সঙ্গীতশিল্পী পলাশ মুচ্ছল (Palash Mucchal) আর ক্রিকেটার স্মৃতি মান্ধানা (Smriti Mandhana)-র বিয়ে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল, স্মৃতির বাবা অসুস্থ হয়ে পড়ার কারণেই স্থগিত হয়েছে পলাশ আর স্মৃতির বিয়ে। তবে পরবর্তীতে কানে আসতে থাকে বিভিন্ন খবর। শোনা যায়, পলাশের সঙ্গে অন্য মহিলার সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে চলে আসে। প্রকাশ হয়ে পড়ে পলাশের ব্যক্তিগত চ্যাট ও! তারপর থেকেই শোনা যাচ্ছে, ব্যক্তিগত সম্পর্ক, প্রতারণা এই সমস্ত কারণেই অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়ে গিয়েছে পলাশ মুচ্ছল আর স্মৃতি মান্ধানার বিবাহ।
তবে ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে এসেছেন স্মৃতির বাবা। এরপরেও অবশ্য বিয়ের কোনও খবর নেই স্মৃতি আর পলাশের। ফলে অনেকেই মনে করছেন যে কোনও একটা ব্যক্তিগত সমস্যার কারণেই স্মৃতি আর পলাশের বিয়ের ওপর প্রশ্নচিহ্ন উঠে গিয়েছে। স্মৃতির বাবা অসুস্থ হওয়ার পরের দিনই, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল পলাশকে। পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, ভীষণ কান্নাকাটি করে নাকি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন পলাশ। সত্যি সত্যি কী হয়েছিল সঙ্গীতশিল্পীর?
সম্প্রতি একজন চিকিৎসক জানিয়েছেন, পলাশ নাকি অতিরিক্ত মানসিক চাপে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। বুকে চাপ অনুভব করছিলেন, সঙ্গে শুরু হয়েছিল শ্বাসকষ্ট। সেই কারণে তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। প্রথমে তাঁকে সাঙ্গলীর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তবে পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায়, তাঁকে মুম্বইয়ের হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। চিকিৎসক দীপেন্দ্র ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, মানসিক চাপ থেকেই অসুস্থতার সূত্রপাত। এইরকম পরিস্থিতি হলে, সঙ্গে সঙ্গে অক্সিজেন থেরাপি দেওয়ার প্রয়োজন হয়। এরপরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় সঙ্গীতশিল্পীকে। তবে কবে পলাশের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়বেন স্মৃতি বা আদৌ পড়বেন কি না.. সেই উত্তর হয়তো জানে না কেউ।
বিভিন্ন মহলে, পলাশ আর স্মৃতির বিয়ে নিয়ে বিভিন্ন কথা ছড়িয়েছে। এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন পলাশের মা। তিনি জানিয়েছেন, পলাশ নাকি স্মৃতি মান্দানার বাবার ভীষণ ঘনিষ্ঠ ছিলেন। স্মৃতি মান্দানার বাবা অসুস্থ হয়ে পড়ার পরে ভীষণ ভেঙে পড়েছিলেন পলাশ। হলদির পরে পলাশের পরিবার নাকি আর বাইরে যেতে দেয়নি পলাশকে। ৪ ঘণ্টা ধরে কান্নাকাটি করার পরে, অসুস্থ হয়ে পড়েন পলাশ। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। ড্রিপ দেওয়া হয় তাঁকে। পলাশ মুচ্ছলের মা আরও জানিয়েছেন, স্মৃতি মান্দানার বাবা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় ভীষণ ভেঙে পড়েন পলাশ। তিনিই নাকি স্মৃতিকে বলেছিলেন যে, স্মৃতির বাবা সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত অনুষ্ঠান স্থগিত রাখা উচিত। সেই কথাই মানা হয়।