কলকাতা: পল্লবী দে (Pallavi Dey) কী সত্যিই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন? যদি তাই নেন, তাহলে তাঁর কারণ কী ছিল অবসাদ নাকি আত্মহত্যায় প্ররোচনা? ঘুরে ফিরে আসছে একের পর এক প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই উঠে এসেছে সহবাস সঙ্গী সাগ্নিকের অন্য সম্পর্কে জড়িত থাকার কথাও। সাগ্নিক ও তাঁর আরও এক বন্ধু ঈন্দ্রিলার নামে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে পল্লবীর মা-বাবা।


ঐন্দ্রিলার বক্তব্য


তাঁর নামে এফআইআর করা হলেও পল্লবীকে খুনের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন ঈন্দ্রিলা। তিনি জানিয়েছেন, গতকাল অর্থাৎ রবিবার সারারাত তিনি এমআর বাঙুর হাসপাতালে ছিলেন। পল্লবী ও সাগ্নিক দুজনেই তাঁর খুব ভালো বন্ধু। কিন্তু পল্লবীর উপস্থিতিতে তিনি মাত্র একবারই তাঁদের ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন। এর বাইরে আর কিছু তিনি জানেন না বলেই দাবি ঐন্দ্রিলার। 


ইতিমধ্যেই অভিনেত্রীর লিভ ইন পার্টনার সাগ্নিক ও পল্লবীর বান্ধবী ঐন্দ্রিলার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে পল্লবীর পরিবার। আর এবার পল্লবীর পরিবারের প্রশ্ন, সিলিং থেকে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন পল্লবী, কিন্তু ওই উচ্চতায় ওঠার মতো কোনও আসবাব ছিলই না ঘরে!


আরও পড়ুন: Nusrat Jahan: মা হওয়ার পর প্রথম স্টেজ শো, ভয় পেয়েছিলাম: নুসরত


পল্লবীর পরিবারের অভিযোগ, ' পল্লবী সিলিং থেকে ঝুলে আত্মহত্যা করেছিলেন, কিন্তু সেই ঘরে সিলিং অবধি পৌঁছনোর মতো কোনও চেয়ার, টেবিল বা অন্যান্য সামগ্রী ছিল না। তবে নিজের গলায় নিজে ফাঁস দেওয়ার জন্য কি করে সিলিং অবধি পৌঁছলেন পল্লবী? তাঁকে মৃত্যুর পরে প্রথম দেখে তাঁর লিভ ইন পার্টনারই। মৃতদেহ নামানোর পর পল্লবীরই ফোন থেকে তাঁর মা-কে ফোন করেন সাগ্নিক। সেই ফোনে তিনি জানিয়েছিলেন, পল্লবী অচৈতন্য হয়ে গিয়েছে।'


অভিনেত্রী পল্লবী দে-র রহস্যমৃত্যু ঘিরে আরও চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে তাঁর পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, 'কয়েক বছর আগে পল্লবীরই এক বান্ধবীকে বিয়ে করেছিলেন সাগ্নিক। রেজিস্ট্রি ম্যারেজের সাক্ষী হিসেবে সই করেন পল্লবী।' তাঁদের আরও দাবি, বছরখানেক পর সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসেন সাগ্নিক। অভিযোগ, তারপরই পল্লবীর সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে থাকতে শুরু করেন তিনি।