নিবেদিতা দে


বিয়ের ফুল ফুটল পাওলি দামের। ডিসেম্বরের ৪ তারিখে আগ্নিসাক্ষী রেখে, লাল বেনারসীতে, সিঁদুরে-ফুলে-চন্দনে একেবারে বাঙালি কনে সেজে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন তিনি। গুয়াহাটিতে বিয়ে।

পাত্র গুয়াহাটি নিবাসী বাঙালি ব্যবসায়ী অর্জুন দেব। ধনী পরিবারের সন্তান অর্জুনের পড়াশোনা প্রথমে ইনদওরে, তার পর সান ফ্রান্সিসকোয়। দেশে ফিরে এখন পৈতৃক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। বছর দুয়েক আগে পাওলির সঙ্গে আলাপ হয় অর্জুনের। এক পুজো পরিক্রমায় ইতালীয় কনসাল জেনারেলের দেওয়া পার্টিতেই কলকাতায় আসেন অর্জুন। সেই পার্টিতে ছিলেন পাওলিও। সেখানেই পরিচয়। অর্জুনের দিদি দিল্লিতে থাকায়, মাঝে মধ্যে দিল্লিতেও পাওলি-অর্জুনের দেখা হতে থাকে। সংবাদ মাধ্যমে ইতিউতি তাঁদের নিয়ে কথা প্রকাশিতও হয়। কিন্তু মাত্র দিন দু’য়েক আগে বিয়ের দিন স্থির হয়েছে। দিল্লিতে হিন্দি ছবি ‘হালকা’র শ্যুটিংয়ে ছিলেন পাওলি। রণবীর সোরের সঙ্গে শুটিংয়ের ফাঁকে বরের দিদির সঙ্গে বসে বিয়ের দিনও পাকা করেন। আর ফিরে এসে গতকালই ছিল বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের ‘টোপ’-এর প্রিমিয়ার।



বিয়ের পরে এ ভাবেই হয়তো কলকাতা-দিল্লি-গুয়াহাটি করতে হবে পাওলিকে। ‘তিথির অতিথি’ সিরিয়াল দিয়ে কেরিয়ার শুরু। তার পরে ধীরে ধীরে নানা ছবির পরে গৌতম ঘোষের ‘কালবেলা’ই তাঁকে অভিনেত্রীর অন্য পরিচয়ে পৌঁছে দেয়। ‘ছত্রাক’-এর সাফল্য এবং তারপর নানা ভিন্নধর্মী ছবিতে পাওলি নিজেকে প্রমাণ করেন। ‘হেট স্টোরি’ দিয়ে তাঁর হিন্দি ছবিতে প্রবেশ। এর মাঝে টিভি ধারাবাহিক ‘মহানায়ক’-এ সুচিত্রা সেন হিসেবে তিনি ছাপ রেখেছেন নিজের কাজের। জানা গিয়েছে, বিয়ে করলেও ছবি করা তিনি সমান তালে চালিয়ে যাবেন।

ঠিক হয়েছে, গুয়াহাটির তাজ হোটেলে বিয়ে হবে। তার পর ৬ তারিখে ওখানেই রিসেপশন এবং ফুলশয্যা। তার কিছুদিন পরে কলকাতায় সাড়ম্বরে রিসেপশনের আয়োজন হবে। দিনটা অবশ্য এখনও স্থির হয়নি। কলকাতার রিসেপশনে তিনি লেহেঙ্গা-চোলিই পরবেন, ঠিক করেছেন পাওলি। দিল্লিতে ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন ফ্যাশন স্টোরে লেহেঙ্গা নাড়াচাড়াও করেছেন তিনি। ডিজাইনার পোশাকই পরবেন কলকাতার রিসেপশনে। তবে সেটা জয় মিত্র না রোহিত বাল— সেটা স্থির করতে পারেননি।

সব মিলিয়ে, ধীরে-সুস্থেই চলছে বিয়ের প্রস্তুতি। পাওলির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ‘টোপ’-এর প্রিমিয়র থেকে তিনি শুধু বললেন, ‘‘এ নিয়ে আমি এখনই কিছু বলতে চাইছি না।’’

সমস্ত ছবি সৌজন্যে আনন্দবাজার পত্রিকা