কলকাতা: বসন্তের রঙে মিশে থাকে প্রেম। কিন্তু সেই বসন্তের উৎসব যেন ততটা মধুর হল না আহির আর পিলুর (Pilu) কাছে। ফের রঞ্জার পরিকল্পনায় বিপদে পড়ল পিহু। আহিরের কাছে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারবে সে? 


সুরমণ্ডলে আয়োজন করা হয়েছে হোলির উৎসব। সেখানে সামিল হয়েছে সবাই। বিয়ের পর এই প্রথম দোলের উৎসব আহির-পিলুর। তবে ততটা মধুর হল না সবকিছু। ফের রঞ্জার পরিকল্পনায় বিপদে পড়ল পিহু। সুরমণ্ডল ছেড়ে পিহুকে চলে যেতে বলে ঋজুলা। পিলু সিদ্ধান্ত নেয় নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করবে সে। পিলু কী পারবে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে? উত্তর দেবে সময়। 


সুরের ছন্দে বাঁধা 'পিলু'-র গল্প। চ্যানেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, 'গুরু আদিত্য নারায়ণের গুরুকুলের দায়িত্বশীল ছাত্র আহির। তাঁর সঙ্গে বাড়ির ছোট মেয়ে রঞ্জিনীর বিয়ে হোক, এমনটাই চান গুরু আদিত্য নারায়নের স্ত্রী। কিন্তু সুরের সূত্র ধরেই আহিরের সঙ্গে আলাপ হয় পিলুর। পিলু লোকগীতির শিল্পী। লোকগীতিকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার স্বপ্ন দেখে সে। একে অপরের প্রেমে পড়ে আহির, পিলু। কিন্তু আহিরের গুরুদক্ষিণা রঞ্জিনীকে বিয়ে করা। কিন্তু গুরুকূলে পিলু এসে বদলে দেয় সব সম্পর্কের সমীকরণ।


আরও পড়ুন: দোলের উৎসবে আবিরে মাখামাখি মিঠাই-সিড, খুশি গোটা পরিবার


ধারাবাহিকে এবার গুরুজির সম্মান বাঁচাতে গুরুতর পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় নায়ক আহিরকে। পিলুর সিঁথিতে সিঁদুর দিয়েছিল আহির। ধারাবাহিকের গল্পে ধারা অনুযায়ী, আহির ও রঞ্ঝার বিয়ের আয়োজন করা হয়। কিন্তু বিয়ের আসরেই ঘটে একেবারে উল্টো কাণ্ড। আহির তাঁর গুরুজি অর্থাৎ রঞ্ঝার বাবার সম্মান বাঁচাতে বিয়ে করে পিলুকে। যদিও তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করে খোদ পিলুই। ধারাবাহিকের অভিনয়ে নবাগতা মেঘা দাঁ ও গৌরব রায় চৌধুরী।


ধারাবাহিকের গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন শাশ্বতী ঘোষ। ধারাবাহিকটি পরিচালনা করছেন রাজেন্দ্র প্রসাদ দাস। ধারাবাহিকের একটি গুরুত্বপূর্ণ  অংশ গান। ধারাবাহিকের সঙ্গীত পরিচালনা করবেন উপালি চট্টোপাধ্যায়। রূপসজ্জার দায়িত্বে রয়েছেন জয়ন্তী সেন। এডিটিং-এর দায়িত্বে যীশু নাথ।