মুম্বই: মুক্তি আগেই আইনি জটিলতায় আলিয়া ভট্টের 'গঙ্গুবাঈ কাঠিয়াওয়াড়ি' (Gangubai Kathiawadi)। ছবির নাম পরিবর্তন করার জন্য বোম্বে হাইকোর্টে আবেদন জানালেন এক কংগ্রেস নেতা।
ছবির চিত্রনাট্য অনুযায়ী, কামাথিপুরা অঞ্চলকে নিষিদ্ধপল্লি বলে বর্ণনা করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, অভিযোগ এ ও যে, সঞ্জয় লীলা বনশালি পরিচালিত এই ছবিতে মানহানি করা হয়েছে কাঠিয়াওয়াদি সম্প্রদায়ের মানুষদেরও। আমিন পটেল নামের ওই এমএলএ বোম্বে হাইকোর্টে আইনিভাবে আর্জি জানিয়েছেন ছবির নাম পরিবর্তন করার জন্য। আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার এই মামলার শুনানি হবে।
এই প্রথম নয়, এর আগেও আইনি জটে জড়িয়েছে 'গঙ্গুবাঈ কাঠিয়াওয়াড়ি'। ‘দি মাফিয়া কুইনস অব মুম্বই’ নামে একটি বইয়ের কাহিনিকে ভিত্তি করে ছবিটি তৈরি হয়েছে। এক সাংবাদিকের গবেষণাধর্মী কাজের উপর ভিত্তি করে বইটি লিখেছেন হুসেন জাইদি। কিন্তু ছবি ও সেই বইয়ের বিষয়বস্তু নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন গাঙ্গুবাঈয়ের ছেলে বাবুজি রাওজি শাহ। তাঁর অভিযোগ, এই ছবি ও সিনেমার বেশ কিছু অংশ আপত্তিজনক ও অসম্মানজনক। তিনি ছবির কাজ বন্ধের দাবি করে তিনি মামলা ঠুকেছিলেন বনশালী, ছবির অভিনেত্রী আলিয়া ভট্ট ও কয়েকজনের বিরুদ্ধে। কামাথিপুরা যৌনপল্লীর মালকিন গাঙ্গুবাঈকে নিয়ে তৈরি ছবির মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন আলিয়া। 'দি মাফিয়া কুইনস অব মুম্বই' বইটির কিছু অংশ অবমাননাকর, ব্যক্তি স্বাধীনতা ও আত্মসম্মান লঙ্ঘনের সামিল বলে দাবি করেছিলেন বাবুজি। বইটি ছাপা ও বিক্রির উপর চিরকালের নিষেধাজ্ঞা জারির আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: Rang Milanti Reunion: এক ফ্রেমে 'রংমিলান্তি', পুনর্মিলনের ছবি পোস্ট গৌরব চক্রবর্তীর
সদ্য ছবি প্রচার করতে কলকাতায় পা রেখেছিলেন আলিয়া ভট্ট। সাদা শাড়িতে নজরকাড়া আলিয়া। জলভরা সন্দেশ আর গোলাপ ফুল হাতে প্রচার সারলেন তিনি।
এর আগে বহু অন্য ধারার ছবি দর্শককে উপহার দিয়েছেন পরিচালক সঞ্জয়লীলা বনশালী। তাঁর পরিচালিত শেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ছিল 'পদ্মাবত'। যা শুধুমাত্র বক্স অফিসেই সাফল্য পায়নি, তার সঙ্গে সারাদেশের দর্শকের মধ্যে আলোচনাও তৈরি করেছে। এই ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসিত হন দীপিকা পাড়ুকোন। এখন তাঁর পরিচালিত 'গাঙ্গুবাঈ কাথিয়াওয়াড়ি' দেখার জন্য উতসুক দর্শক। এক সাক্ষাতকারে সঞ্জয়লীলা বনশালী বলেন, 'আমার মনে হয়, যে দেশে মতামত প্রকাশ করার স্বাধীনতা থাকে, সেটাই আসল শক্তি। আমাদের কখনও ছবি তৈরি করতে গিয়ে কোনও বাধার সম্মুখীন হতে হয়নি। আমরা যা বলতে চেয়েছি, তা বলার সময় কখনও থামিয়ে দেওয়া হয়নি। আমাদের কখনও বলা হয়নি যে, এটা বলতে পারবে না। এটা সম্পূর্ণই আমাদের উপর নির্ভর করছে। একজন পরিচালক, প্রযোজক কিংবা একজন অভিনেতার কাছে আমাদের দেশে এমন স্বাধীনতা পাওয়ার থেকে আর বড় কী পাওনা আছে। আমার তো মনে হয় এটা খুবই উল্লেখযোগ্য যে, আমাদের কখনও কোনও ছবি তৈরি করতে গিয়ে কোনও বাধার মুখে পড়তে হয়নি। কোনওক্ষেত্রে বলা হয়নি যে, তুমি এটা করতে পারবে না। কারও অনুমতিও নেওয়ার প্রয়োজন হয়নি।'
প্রসঙ্গত, বার্লিন ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের গালা সেগমেন্টে 'গাঙ্গুবাঈ কাতিয়াওয়াড়ি' ছবির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়র হবে।