রাহুলের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬ (আত্মহত্যায় প্ররোচনা), ৩২৩ (স্বেচ্ছায় কাউকে আঘাত করা), ৫০৪ (শান্তি নষ্ট করার উদ্দেশ্যে কাউকে আঘাত, অপমান করা), ৫০৬ ধারা (ফৌজদারি ভীতি প্রদর্শন)-য় মামলা রুজু হয়েছে বাঙ্গুর নগর থানায়।
এর আগে অকালে চলে যাওয়া অভিনেত্রীর অভিভাবকরা জানিয়েছিলেন, প্রত্যুষা-রাহুল নিয়মিত বিবাদ-ঝামেলায় জড়াতেন। দুজনকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হস্তক্ষেপ করতে হত তাঁদের। আজ প্রত্যুষার মা সোমাদেবী পুলিশকে দেওয়া বিবৃতিতে বলেন, আমি প্রত্যুষার সঙ্গে ওর কান্দিভলির ফ্ল্যাটে থাকতাম। ওর ও রাহুলের মধ্যে গণ্ডগোল হলে দুজনে আলাদা থাকত। আমি দুজনকেই বোঝাতাম, এত বিবাদ-বিরোধ না করে বরং নিজেদের কেরিয়ারের দিকে নজর দেওয়া উচিত ওদের।
রাহুলের বাবা-বোন প্রত্যুষার পরিবারকে অনুরোধ করেছেন, রাহুলের দিকে আঙুল না তুলে এখন প্রত্যুষার আত্মার শান্তি কামনা করা উচিত সকলের।
তবে গতকালই কামিয়া পাঞ্জাবী ও বিকাশ গুপ্তা-প্রত্যুষার দুই বন্ধু যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করে রাহুলকে কাঠগড়ায় তোলেন। প্রত্যুষার সঙ্গে রাহুল প্রতারণা করেছেন বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। দাবি করেন, প্রত্যুষা আর রাহুলের সঙ্গে সম্পর্কের বোঝা টানতে পারছিলেন না, তা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য ছটফট করছিলেন। নিজেই সে কথা তাঁকে জানিয়েছিলেন বলে দাবি করেন কামিয়া।
পুলিশের সন্দেহ, অন্য এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন রাহুল যা নিয়ে মানসিক অশান্তির মধ্যে ছিলেন 'বালিকা বধূ' সিরিয়ালের 'আনন্দী'।
প্রত্যুষা কোনও আর্থিক সঙ্কটে পড়েছিলেন কিনা, তাও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।