নয়াদিল্লি: বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী পণ্ডিত বিরজু মহারাজের (legendary kathak dancer Pandit Birju Maharaj) জীবনাবসানে শোকপ্রকাশ করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ (President Ram Nath Kovind) ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Prime Minister Narendra Modi)। কত্থক-গুরুর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, হৃদরোগে (Heart Attack) আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। গতকাল রাতে দিল্লির বাড়িতে মৃত্যু হয় এই কত্থক কিংবদন্তির।
শোক প্রকাশ করে রামনাথ কোবিন্দ লেখেন, 'কিংবদন্তি পণ্ডিত বিরজু মহারাজের মৃত্যু একটি যুগের অবসান। এটি ভারতীয় সঙ্গীত এবং সাংস্কৃতির ক্ষেত্রে গভীর শূন্যতা সৃষ্টি করল। তিনি কিংবদন্তি হয়ে ওঠেন, বিশ্বের দরবারে কত্থককে জনপ্রিয় করতে অতুলনীয় অবদান রেখেছিলেন। তাঁর পরিবার ও ভক্তদের প্রতি সমবেদনা।'
প্রধানমন্ত্রীও এদিন ট্যুইট করে লেখেন, 'পণ্ডিত বিরজু মহারাজ জির মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত, যিনি ভারতীয় নৃত্য শিল্পকে বিশ্বজুড়ে অনন্য স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। তাঁর চলে যাওয়া সমগ্র শিল্প জগতের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। শোকের এই মুহূর্তে তাঁর পরিবার ও ভক্তদের প্রতি আমার সমবেদনা। ওঁম শান্তি।'
কয়েক দিন আগে থেকে কিডনির রোগে ভুগছিলেন পণ্ডিত বিরজু মহারাজ। তাঁর ডায়ালিসিস চলছিল।
১৯৩৮-এর ৪ ফেব্রুয়ারি লখনউতে জন্ম। আসল নাম ব্রিজমোহন মিশ্র। কত্থক নৃত্যে লখনউ ঘরানার শিল্পী পরিচিত হয়ে ওঠেন পণ্ডিত বিরজু মহারাজ নামে। তাঁর বাবা ও গুরু অচ্ছন মহারাজ, দুই কাকা শম্ভু মহারাজ ও লাচ্চু মহারাজও প্রখ্যাত কত্থক-শিল্পী।
১৯৮৩ সালে 'পদ্মবিভূষণ' পান বিরজু মহারাজ। পেয়েছেন 'সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার' ও কালীদাস সম্মান। "বিশ্বরূপম" ছবিতে কোরিওগ্রাফির জন্য চলচ্চিত্রে জাতীয় পুরস্কার পান বিরজু মহারাজ।
"শতরঞ্জ কি খিলাড়ি" ছবিতে সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে কাজ করেছেন। বলিউডে "দেবদাস", "বাজিরাও মাস্তানি", "উমরাও জানের" মতো ছবিতে বিরজু মহারাজের কোরিওগ্রাফি নজর কাড়ে। শিষ্য ও অনুগামীরা তাঁকে পণ্ডিতজি বা কখনও কখনও মহারাজজি বলে ডাকতেন।