মুম্বই: টেলিভিশন অভিনেত্রী প্রত্যুষা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যুর খবরে যখন শোকস্তব্ধ গোটা মুম্বইনগরী, তখনই বলিউডের এক লিডিং লেডির একাধিকবার আত্মহত্যার চেষ্টার খবর সামনে এল। তবে তিনি তাঁর 'স্ট্রাগলিং পিরিয়ডে' এমন চেষ্টা করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। সেই সুপারস্টার আর কেউ নন, এইমুহূর্তে বলিউড-হলিউড দু জায়গায়ই সমানভাবে সফল হওয়া অভিনেত্রী প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। প্রিয়ঙ্কা সম্পর্কে এই কথা দাবি করেছেন, তাঁরই প্রাক্তন ম্যানেজার প্রকাশ জাজু।


প্রকাশ জাজুর দাবি, কেরিয়ারের শুরুর দিকে প্রাক্তন এই বিশ্বসুন্দরী ভীষণই অস্থির চিত্তের ছিলেন। বর্তমানে প্রিয়ঙ্কাকে দেখে একজন কঠোর চরিত্রের নারী মনে হলেও, কেরিয়ারের শুরুতে তিনি দু থেকে তিনবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। যদিও শেষমুহূর্তে প্রকাশই তাঁকে আটকান, দাবি ম্যানেজারের।





প্রকাশ জানিয়েছেন, পিগি চপস-এর প্রথম জীবনের বয়ফ্রেন্ড অসীম মার্চেন্টে-এর সঙ্গে হামেশাই ঝামেলা লেগে থাকত অভিনেত্রীর। বেশিরভাগ সময়ই প্রিয়ঙ্কা অসীমকে মধ্যরাতে ফোন করে কান্নাকাটি করতেন। এরকমই এক অশান্তির পর প্রিয়ঙ্কা মুম্বইয়ের ভাসাই এলাকায় গাড়ি চালিয়ে গিয়েছিলেন আত্মহত্যার চেষ্টায়। যদিও শেষপর্যন্ত তাঁকে বুঝিয়ে সেখান থেকে বাড়ি ফিরিয়ে আনেন প্রকাশই, দাবি ম্যানেজারের।

প্রকাশ আরও এক টুইটে দাবি করেছেন অসীমের মায়ের সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল প্রিয়ঙ্কার। ২০০২ সালে তাঁর মৃত্যুর পর অসীমের বাড়ি থেকে ঝাঁপ দিতে গিয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা। প্রকাশের দাবি, সেইসময় প্রিয়ঙ্কাকে চেয়ারের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়, যতদিন না বাড়ির জানলায় গ্রিল বসেছে।






তবে বর্তমানে প্রিয়ঙ্কা ও তাঁর প্রাক্তন ম্যানেজার প্রকাশ জাজুর সম্পর্ক ভাল নয়। পরিস্থিতি আরও জটিল হয় যখন প্রিয়ঙ্কা হঠাত্ করেই প্রকাশের তাঁর সঙ্গে কাজ করার সমস্ত চুক্তি বাতিল করে দেন। এরপর প্রকাশ প্রিয়ঙ্কার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। অভিনেত্রীর বাবা পাল্টা মামলা দায়ের করেন। অবশেষে এই ঘটনায় প্রকাশকে ৬৭ দিন জেল খাটতে হয়।