কলকাতা: বলিউড হোক কিংবা টলিউড, নানা জায়গায় হয় খালি বিচ্ছেদের খবর। আর নাহলে তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে চলছে কাদা ছোড়াছুড়ি। কখনও অনুপম-পিয়ার বৈবাহিক সম্পর্কের বিচ্ছিন্নতা নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন। কখনও আর এক দম্পতি তথাগত-দেবলীনার বিবাহবিচ্ছেদের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। আর তা নিয়েও চলছে চুল চেরা বিশ্লেষণ। কিন্তু একটা সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পরও যে তা কোনও না কোনও সুতোয় বাঁধা থাকে, তা বারবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছেন 'চিরদিনই তুমি যে আমার' জুটি রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায় (Rahul Arunodoy Banerjee) এবং প্রিয়ঙ্কা সরকার (Priyanka Sarkar)।


ওয়েব সিরিজের অ্যাকশন দৃশ্যের শ্যুটিং চলাকালীন ইকো পার্কের কাছে মত্ত বাইক চালকের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন বাংলা ছবির জনপ্রিয় অভিনেত্রী প্রিয়ঙ্কা সরকার। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনায় পায়ে গুরুতর চোট লেগেছে অভিনেত্রীর। তাঁকে সকালেই মুকুন্দপুর আমরি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বাইকের সজোরে ধাক্কায় ডান পায়ের দুটি হাড় ভেঙেছে এবং তারসঙ্গে পায়ে বেশ ক্ষতও রয়েছে। 


আরও পড়ুন - শুটিং চলাকালীন বেপরোয়া বাইকের ধাক্কা অর্জুন-প্রিয়ঙ্কাকে, গুরুতর আহত অভিনেত্রী, ভর্তি হাসপাতালে


বিবাহিত সম্পর্ক বেশ কয়েক বছর আগে ভেঙে গেলেও রাহুল এবং প্রিয়ঙ্কার মধ্যের টানের সম্পর্ক এখনও ভাঙেনি। তাই তো প্রিয়ঙ্কা দুর্ঘটনার কবলে পড়া মাত্র হাসপাতালে ছুটে গিয়েছেন 'প্রাক্তন' স্বামী রাহুল। সারাদিন সেখানেই রয়েছেন। অভিনেতার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাঁর গলায় ফুটে উঠেছে উদ্বেগ। বিবাহিত সম্পর্ক আজ হয়তো আর তাঁদের মধ্যে নেই। কিন্তু টান বা ভালোবাসা সেটা তো কিছুটা হলেও থেকেই যায়। তাই প্রিয়ঙ্কার শারীরিক অবস্থার কথা জিজ্ঞাসা করতেই রাহুলের গলায় ফুটে উঠল একরাশ উদ্বেগ, চিন্তা। বললেন, 'প্রিয়ঙ্কার মতো শক্তিশালী মেয়ে কমই আছে। ওর পায়ে প্লেট বসাতে হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু ওর যা মনের জোর, তাতে আশা করছি খুব তাড়াতাড়িই ও সুস্থ হয়ে যাবে।'


অপারেশন চলছে প্রিয়ঙ্কা সরকারের। আর অপারেশন থিয়েটারের বাইরে দাড়িয়ে অপেক্ষা করছেন রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন, অভিনেত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে। কিন্তু তিনি হাসপাতালে এসে পৌঁছতে পৌঁছতে ততক্ষণে প্রিয়ঙ্কাকে ওটিতে নিয়ে গিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাই অপারেশন শেষে অভিনেত্রীকে চোখে দেখার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন তিনি। বিবাহিত সম্পর্ক শেষ হওয়ার পরও কখনও প্রিয়ঙ্কা সম্পর্কে কোনও খারাপ মন্তব্য করতে দেখা কিংবা শোনা যায়নি রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আজও তিনি প্রিয়ঙ্কার দুর্ঘটনায় তাঁর পাশে এসে মনের জোর বাড়াচ্ছেন। অথচ, গলা শুনে বোঝা গেল, মনে মনে ঠিক কতটা ভেঙে পড়েছেন রাহুল। কথায় বলে, বিপদে যে পাশে এসে দাঁড়ায়, সেই তো আসল বন্ধু। আর দুর্ঘটনায় যে মানুষ পাশে এসে দাঁড়ায়, সেই তো ভালো মনের মানুষ। এ সম্পর্ক সত্যিই 'চিরদিনের ভালোবাসার'। কখনও কখনও কঠিন বাস্তব জীবনকে সুন্দর সিনেমা করে তোলে। প্রার্থনা, প্রিয়ঙ্কা খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন।