কলকাতা: ছোটবেলায় কাকাবাবু দেখে নয়, বইয়ের পাতায় পড়েই কেটেছে তাঁর শৈশব। ক্রাচ হাতের লোকটার ছবি এঁকেছেন কল্পনার রঙ তুলিতে। বড় হয়ে রুপোলি পর্দায় নিজেই যখন 'রাজা রায়চৌধুরী' হয়ে উঠলেন তিনি, মনে হয়েছিল বর্তমান প্রজন্মের জন্য 'কাকাবাবু'-র আধুনিকীকরণ দরকার। তাই পরিচালকের সঙ্গে পরিকল্পনা করে 'কাকাবাবু'-র হাতে উঠেছিল ট্যাব, গুগল, আইপ্যাড, মুখে আধুনিক ভাষা। 'প্রত্যাবর্তন' ঘটিয়ে এবিপি লাইভকে 'কাকাবাবু'-র গল্প শোনাচ্ছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee)। 


ছোটবেলায় আর সবার মত 'কাকাবাবু'-কে বইয়ের পাতায় পড়েছেন প্রসেনজিৎও। তাঁর চোখে 'কাকাবাবু'-র রুপটা ঠিক কেমন ছিল? এবিপি লাইভের প্রশ্নের উত্তরে প্রসেনজিৎ বললেন, 'আমি চোখ বুজলে যে 'কাকাবাবু'-কে দেখতে পাই তিনি শমিত ভঞ্জ (Samit Bhanja) মানে বুবুদা। আমাদের ছোটবেলায় কাকাবাবুকে প্রথম কাছের থেকে বড়পর্দায় দেখি 'সবুজ দ্বীপের রাজা' ছবিতে। তপন সিংহ পরিচালিত 'সবুজ দ্বীপের রাজা'-য় বুবুদা কাকাবাবু হয়েছিলেন। ওইটা আমার ওপর ভীষণভাবে প্রভাব বিস্তার করেছিল। আর ওই ছবিতে বুবুদা অনবদ্য অভিনয় করেছিলেন।'


পাশ দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে চিতা, লোকজন বলছে, 'ডোন্ট মুভ স্যর'


যখন প্রথম 'মিশর রহস্য'-এর পরিকল্পনা হয়েছিল, 'বুম্বা'-র মনে হয়েছিল কাকাবাবুকে সমসাময়িক করে তোলা প্রয়োজন। প্রসেনজিৎ বলছেন, 'কাকাবাবু করার সময় আমি আর সৃজিত পরিকল্পনা করেছিলাম, আমরা আজকের কাকাবাবুকে পর্দায় তুলে ধরব। এখন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যেমন সম্পর্ক বদলেছে, তেমন বদলেছে প্রযুক্তিও। যে কাকাবাবু গুগল করে, ট্যাব, আইফোন, আইপ্য়াডে কাজ করে, তার তো চরিত্রেরও আধুনিকীকরণ হবে। সন্তুর সঙ্গে সম্পর্কের সমীকরণও বদলাবে। আমি আর সৃজিত আলোচনা করে কাকাবাবু-র একটা রূপ দিয়েছিলাম। এর একটা ভালো দিক হয়েছে যে আজকের যে প্রজন্ম কাকাবাবু পড়েনি, তারা কাকাবাবুকে সহজেই আত্মস্থ করে ফেলতে পারছে। মিশর রহস্যের সময় অনেকে অনেক কথা বলেছিলেন। কিন্তু আমি জানি যখন কাকাবাবু গাড়ির সামনে বসে আর পিছনের সিটে সন্তু আর ত্রিধা প্রেম করছে, তখন হলে লোকে হাসত, হাততালি দিত। এখনকার প্রজন্মের কাছে ওটাই খুব অন্যরকম লাগছে। যাঁরা অবশ্য কাকাবাবুর অনুরাগী তাঁরা বলেছেন, এটার কোনও প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু যাঁদের কাকাবাবু পড়া নেই তাঁদের জন্য তো কাকাবাবুকে বর্তমান সময়োপযোগী করে তুলতে হবে।'