কলকাতা: অবশেষে অগ্নি সাক্ষী রেখে সাত পাকে বাঁধা পড়বেন তিনি। গোয়ায় বিয়ের আসর বসছে এই বাঙালি অভিনেত্রীর। লাল বেনারসি আর ধুতি পাঞ্জাবিতে এক্কেবারে বাঙালি বিয়ের আসর। আর সেখানে হাজির থাকবে নতুন বর-কনের একরত্তি ছেলেও! কথা হচ্ছে অভিনেত্রী পূজা বন্দ্যোপাধ্যায় (Puja Banerjee) ও কুণাল ভার্মার (Kunal Varma)। 


আগামী ১৫ নভেম্বর, সোমবার সাত পাকে বাঁধা পড়ছেন পূজা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কুণাল ভার্মা। লকডাউনের আগেই আইনি বিয়ে সেরে ফেলেছিলেন পূজা ও কুণাল। একরত্তি ছেলেও রয়েছে তাঁদের, নাম কৃশিব (Krishiv)। কিন্তু এরপর করোনা পরিস্থিতি ও লকডাউনের জেরে পিছিয়ে গিয়েছিল তাঁদের সামাজিক বিয়ে। সীমিত সংখ্যক অতিথি নিয়ে বিয়ে সারতে চাননি পূজা। তাঁদের ইচ্ছা ছিল জাঁকজমক করে বিয়ে করার। সেই সখ পূরণ করতেই সপরিবারে গোয়ায় উড়ে গিয়েছেন পূজা। সঙ্গে রয়েছে তাঁর পরিবার, আত্মীয় ও কিছু ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাও।


রাত পোহালেই পূজার মেহেন্দি। তার ফাঁকে হাতে ম্যানিকিওরও সেরে ফেলেছেন অভিনেত্রী। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে দেখা গিয়েছে তার ঝলক। মা-বাবার বিয়েতে হাজির থাকবে ছোট্ট কৃশিবও। কাজ ছাড়া একরত্তিকে কাছ ছাড়া করতে চান না পূজা। তাঁর সোশ্যাল মিডিয়াতে চোখ রাখলেই দেখা যায় কৃশিবের নানা দুষ্টুমি। মুম্বই ও কলকাতা ছাড়া এই প্রথম এক নতুন শহরে পাড়ি দিচ্ছে কৃশিব।


প্রথমবার কৃশিবকে বাড়িতে রেখে 'পাপ' ওয়েবসিরিজের দ্বিতীয় পর্বের শ্যুটিং সেরেছিলেন পূজা। নতুন মায়ের পক্ষে কতটা কঠিন ছিল সেই সফর? এবিপি লাইভকে পূজা বলেছিলেন, 'দুটো সত্ত্বার মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রেখে চলা সহজ নয়। তবে আমার জন্য পরিস্থিতিটা আরও কঠিন করে তুলেছিল করোনাকাল। কৃশিবকে বাড়িতে রেখে শ্যুটিং করতে যাওয়াটা আমার জন্য বেশ কঠিন ব্যাপার ছিল। ও খুব ছোট, তাই সংক্রমণের ভয় পেয়েছিলাম। তবে পাপ সিরিজটা নিয়ে আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল। ইতিমধ্যেই সবাই ২ বছর অপেক্ষা করেছেন। আমি দর্শকদের আর অপেক্ষা করাতে চাইনি। আমার টিম খুব  সাহায্য করেছে আমায়। আমার সময় মতই শ্যুটিং ফেলত। সবার সাহায্যেই অন্তিম পর্বের শ্যুটিংটা শেষ করতে পেরেছি। একটা ঘটনা মনে আছে, একদিন কৃশিবের খুব জ্বর। আমার শেষদিনের শ্যুটিং ছিল তারপরের দিন। সারারাত ওর সঙ্গে জেগেছি। পরের দিন শ্যুটিং-এ যাব। কৃশিব আমায় ছাড়তে চাইছিল না। শ্যুটিং-এ গিয়ে কাজে মন লাগছিল না। খারাপ লাগছিল। একজন মা হিসাবে অসুস্থ বাচ্চাকে বাড়িতে ছেড়ে আসাটা অনুচিত। আবার একজন অভিনেত্রী হিসাবে, জীবনে যাই হোক না কেন.. শো মাস্ট গো অন। নিজের জীবনে এই টানাপোড়েনটা প্রথম অনুভব করেছিলাম।'