রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: কালীপুজোর জলসায় ডিজের তালে নাচছেন ময়নাগুড়ির বিজেপি বিধায়ক! মাইক্রোফোন নিজের হাতে নিয়ে গাইছেন গান! পাশে দাঁড়িয়ে দেখছেন দেহরক্ষীরা। সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এমনই ভিডিও। তা নিয়ে জলপাইগুড়িতে শুরু হয়েছে রাজনীতি। বিধায়কের প্রতিক্রিয়া মেলেনি। ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ। 



ঠিক কী ঘটেছে? 


বিজেপি বিধায়ক মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে নাচছেন, ব্যাকগ্রাউন্ডে মিউজিক। পরনে সাদা পায়জামা-পাঞ্জাবি। ওপরে জহর কোট। সঙ্গে গেরুয়া উত্তরীয়। ছবিতে মঞ্চে মাইক্রোফোন হাতে যাঁকে নাচতে দেখা যাচ্ছে, তিনি ময়নাগুড়ির বিজেপি বিধায়ক কৌশিক রায়। সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এই ভিডিও। ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ।


স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে জলসার আয়োজন করেছিল ময়নাগুড়ির ধাড়াইকুড়ি সর্বজনীন কালীপুজো কমিটি। সেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন ময়নাগুড়ির বিজেপি বিধায়ক। ভাইরাল ভিডিও-য় নাচের পাশাপাশি গানও করতে দেখা গিয়েছে বিধায়ক কৌশিক রায়কে। বিধায়ক যখন মঞ্চে নাচছেন এবং গাইছেন, পাশে উপস্থিত ছিলেন তাঁর দেহরক্ষীরা। ভাইরাল ভিডিওকে অস্ত্র করে বিজেপিকে নিশানা করেছে তৃণমূল। পাল্টা জবাব দিয়েছে গেরুয়া শিবির।


আরও পড়ুন, চিকিৎসা করাতে এসে থাপ্পড় খেলেন অন্তঃসত্ত্বা, কাঠগড়ায় চিকিৎসক


ময়নাগুড়ি ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মনোজ রায় বলেন, "উনি একজন বিধায়ক। উনি বিধানসভায় যান। দেহরক্ষীকে পাশে রেখে নাচগান প্রদর্শন। অঙ্গভঙ্গি করেন। আমরা বলছি, এরকম করবেন না। এতে ময়নাগুড়ির কালচার নষ্ট হচ্ছে। এটা ময়নাগুড়ির কালচার নয়। এটা মানায় না আপনাকে। এদিকে, বিজেপির জলপাইগুড়ি টাউন মণ্ডলের পর্যবেক্ষক সৌজিত সিংহ বলেন, "তৃণমূল এটা গেমপ্ল্যান করে করছে। ভিডিওটা আমি দেখেছি। বিধায়ক গান করছিলেন। মনে হয় না এর মধ্যে খারাপ কিছু ছিল। উনি কারও শ্লীলতাহানিও করেননি। কাউকে মারধর করেননি। দেহরক্ষী রাখতে হয় নিরাপত্তার কারণে। সামান্য ব্যাপার। গত কয়েকদিন আগে আমরা দেখেছি তৃণমূল বিধায়ক মদ্যপ অবস্থায় ফিতে খুঁজে পাচ্ছিলেন না। একজন বিধায়কের শিল্পীসত্ত্বা থাকতেই পারে।" 


গোটা ঘটনায় ময়নাগুড়ির বিজেপি বিধায়কের একটি প্রতিক্রিয়া ভাইরাল হয়েছে। এবিপি আনন্দ তার সত্যতা যাচাই করেনি। ময়নাগুড়ির বিজেপি বিধায়ক কৌশিক রায় বলেন, "আমাদের ক্লাবের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠান। বাচ্চাদের নাচগান ছিল। অন্য কোনও বিষয় ছিল না। এতো দলবাজি চলবেই। সব চক্রান্ত। একটা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়ে তো যেতেই হবে। এতে খারাপের কিচ্ছু নেই।