মুম্বই: ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজছে ‘হনুমান চালিশা’। তার সঙ্গে সানি লিওনের ‘অশালীন’ নাচানাচি। ‘রাগিনী এমএমএস’ ছবির এমন এক দৃশ্যে মানুষের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছেন সানি। অপমান হয়েছে ভগবান হনুমানেরও। এমনই অভিযোগ জমা পড়ায় স্থানীয় পুলিশকে তদন্ত করতে বলল পুনের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।


২০১৪ সালে ‘রাগিনী এমএমএস’-এর মুক্তির পর সানির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন হেমন্ত পাতিল নামে জনৈক সমাজকর্মী। তাঁর দাবি, প্রডিউসার একতা কপূর ওই ছবিতে অশালীনতা দেখানোর পাশাপাশি ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৫এ অনুচ্ছেদের ধারাগুলি লঙ্ঘন করে মানুষের ভাবাবেগ ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করেছেন।  প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জে এস কোকাতে আজ জারি করা নির্দেশে বলেন, অভিযোগ ও তার সমর্থনে দেওয়া নথিপত্র খতিয়ে দেখেছি। আমার মনে হয়, কোনও চূড়ান্ত রায় ঘোষণার আগে ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধির ২০২ ধারায় প্রথমে তদন্ত শেষ করে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে রিপোর্ট পেশ করা প্রয়োজন।


অভিযোগকারীর কৌঁসুলি ওয়াজিদ খান জানান, ওই আইনে এ ধরনের তদন্তের জন্য সময়সীমা রয়েছে দু মাস। তাঁর বক্তব্য, তদন্ত রিপোর্ট পেশ হওয়ার পর যদি তাদের মনে হয়, ছবির নির্মাতা ও অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগের সারবত্তা আছে, তবে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে আদালত।