কলকাতা: গরাদের ওপারের জীবন ঠিক কেমন হয়? পরেরদিন সকালেই যাঁর মৃত্যু, তার ঠিক আগের কয়েকটা ঘণ্টা ঠিক কেমন কাটে? ঠিক এমনই এক গল্প নিয়ে মুক্তি পাচ্ছে নতুন ছবি 'মৃত্যুপথযাত্রী'। ছবি মুখ্যভূমিকায় অভিনয় করছেন রাহুল অরুণোদয় বন্দোপাধ্যায় (Rahul Arunoday Banerjee)। আগামী মাস অর্থাৎ জুনের ১০ তারিখ মুক্তি পাচ্ছে 'মৃত্যুপথযাত্রী' (Mrityupathojatri)। 


'মৃত্যুপথযাত্রী' ছবির চিত্রনাট্য লেখক ও পরিচালক সৌম্য সেনগুপ্ত। কান সিং সোধার প্রযোজনা সংস্থা কেএসএস প্রোডাকশন অ্যান্ড এন্টারটেনমেন্টের তরফ থেকে মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি। সিনেমার শুরু হয় মৃত্যুর ঠিক আগের রাত থেকে। গোটা ছবি জুড়ে কেবল গরাদ, ফিরে দেখা অপরাধ, অনুতাপ তারপর মৃত্যু। গরাদের ওপারের একাকিত্ব, অনুতাপ সবকিছু অভিনয়ের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন রাহুল। একাই গরাদের এপারে কখনও দেওয়ালে সরি লিখছেন রাহুল, কখনও আবার দেওয়ালে মাথা ঠুকতে ঠুকতে বলছেন আমার ভুল হয়ে গিয়েছে। শেষে দেখা যায়,  রাষ্ট্রপতি তার প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। তাই পরদিন সকাল ৬ টায় তার ফাঁসি।


ছবি নিয়ে পরিচালক বলছেন, 'ভারতীয় ছবির ইতিহাসে এই ধরণের ছবি এর আগে তৈরি হয়নি। এই ছবির সঙ্গে অন্য কোনও ছবির তুলনা চলে না। ছবির পরতে পরতে তুলে ধরা হয়েছে মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগে একদিন কয়েদির মানসিক অবস্থা, তার মনের পরিবর্তন, অপরাধবোধ, ঘৃণা, ভয় সমস্ত কিছুকেই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।'


আরও পড়ুন: Nigel Akkara Exclusive: 'প্রথম ছবি মুক্তির পরে কোর্টে অপমানিত, ভেবেছিলাম আর অভিনয় করব না'


ছবি সম্পর্কে রাহুল জানান, একজন মৃত্যুপথযাত্রী কয়েদির চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে তাঁকে যথেষ্ট খাটতে হয়েছে। পরিচালকের নির্দেশে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন সংশোধনাগারে সময় কাটিয়েছিলেন রাহুল। একটা ঘরে নিজেকে দিনের পর দিন বন্দি রেখে চরিত্রকে আত্মস্থ করার চেষ্টা করতেন রাহুল। দিনের পর দিন ঘরে বন্দি থাকলে ঠিক কেমন পরিস্থিতি হতে পারে মনের, তা আঁচ করার চেষ্টা করতেন। ডাবিংয়ের সময় গলা চিরে রক্ত বেরিয়ে এসেছিল রাহুলের।


পরিচালকের দাবি, এটাই অরুণোদয়ের জীবনের সেরা অভিনয়। এটাই পরিচালক সাম্য সেনগুপ্তর প্রথম কাজ।