কলকাতা: লকআউটে কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে গোটা ছবি গল্প। দুই ব্যক্তির জীবনের মধ্যে যোগসূত্র কেবল সেই কারখানাই। হঠাৎ লকআউটে কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়াও অনিশ্চিত হয়ে পড়ে এক শ্রমিকের জীবন। অন্যদিকে অন্য গল্প বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র অনির্বাণ সরকারের।
লকআউটে হঠাৎ বাবার কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রভাব পড়ে তাঁর পড়াশোনায়। পড়াশোনা বন্ধ রেখে চাকরির খোঁজ করে অনির্বাণ। কিন্তু পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর মতো চাকরি পায় না সে। তাঁর একটি প্রেমের সম্পর্কও রয়েছে। মেয়েটির নাম আনন্দী। তাঁরও জীবনে সমস্যা রয়েছে। অনির্বাণের ভূমিকায় অভিনয় করছেন রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায় (Rahul Arunoday Banerjee)। পরিচালক জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় মুক্তি পাচ্ছে নতুন ছবি 'আকাশ অংশত মেঘলা'।
এই চরিত্রে অভিনয় করার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল রাহুলের? এবিপি লাইভকে অভিনেতা বলছেন, 'একজন অভিনেতার কাছে এটাই স্বপ্ন যে সে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয় করবে। আমি খুব ভাগ্যবান যে আমার কাছে এই বছর এতগুলো অন্যরকম চরিত্রের অফার এসেছে। 'আবার কাঞ্জনজঙ্ঘা' থেকে শুরু করে 'মৃত্যুপথযাত্রী', 'ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি', এরপর 'আকাশ অংশত মেঘলা', চরিত্রগুলো একটা অন্যটার থেকে ভীষণ আলাদা। অনির্বাণের চরিত্রটা ভীষণ গভীর, আমার বেশ মন দিয়ে কাজটা করতে হয়েছে। আবার অন্যদিকে সদ্য অভিনয় করা পুলক ঘোষালের চরিত্রটা একেবারে অনরকম। হালকা চালের এবং মজার।'
এই ছবিতে কারখানার শ্রমিকের ভূমিকায় দেখা যাবে রুদ্রনীলকে। রুদ্রনীলের সঙ্গে এই নিয়ে একাধিক কাজ করেছেন রাহুল। অভিনেতা বললেন, 'রুদ্রনীল ভীষণ ভালো সহ অভিনেতা ও যথেষ্ট প্রতিভাবান একজন অভিনেতা।'
কারখানা বন্ধ, লকআউট, রাজনৈতিক কোনও বার্তা রয়েছে ছবিতে? রাহুল বলছেন, 'এটা একেবারে সাধারণ মানুষের গল্প। যে যায় লঙ্কায় সেই হয় রাজা, কিন্তু সাধারণ মানুষের পরিস্থিতি বদলায় না। এই বার্তাই যেন দেবে আকাশ অংশত মেঘলা।'
একের পর এক ছবির মুক্তি, প্রতিযোগীতা বাড়ছে ইন্ডাস্ট্রিতে। 'আকাশ অংশত মেঘলা'-কে সেই প্রতিযোগীতায় কতটা এগিয়ে রাখবেন রাহুল? অভিনেতা বললেন, 'আমি দৌড়ে বিশ্বাসী নই কখনও। মনে হয়, দৌড়ে কোথাও পৌঁছনো যায় না। ভালো ছবি তৈরি হবে, থাকবে, অনেকদিন পরেও দেখা হবে। মুক্তির পর চবি বক্সঅফিসে কতটা চলল তাই দিয়ে ছবি ভালো না খারাপ তা বিচার হয় না। বক্সঅফিস সাফল্য ভালো ছবির মান নির্ণয় করতে পারে না, বরং তা করে সময়।'