কলকাতা: আসছে আতিউল ইসলামের নতুন ছবি 'ফতেমা'। আর এই ছবিতেই মুখ্য় চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে রাহুল অরুণোদয় বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে। রাহুলের পাশাপাশি এই ছবিতে দেখতে পাওয়া যাবে লাবণি সরকার, রাজু মজুমদার, সান্তনা বসু, বরুণ চক্রবর্তী, অনিন্দিতা সোম, মনোজিত বোরাল সহ টলিপাড়ার একাধিক চেনা মুখেরা।
ঠিক কেমন এই ছবির গল্প?
হঠাৎ প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হওয়ায় রিকশা চালানো বন্ধ হয়ে গেল বাবার। সংসারের একমাত্র উপার্জনের পথ বন্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হল ফতেমার লেখা পড়া । বন্ধ হল স্বপ্ন দেখা । ফতেমা ভেবেছিল লেখাপড়া করে সরকারি চাকরি নিয়ে বাবার সমস্ত কষ্ট দূর করে দেবে। কিন্তু সংসার চালানোটাই দুষ্কর হয়ে গেল। এই সময় এলাকার পুরোহিত সাধন ঠাকুরের সান্নিধ্য পেল ফতেমা । ওর বাড়িতে ঘর মোছা , বাসন মাজা , রান্না করা , এমনকি পুজোর ভোগ তৈরি করা সমস্ত কাজ ফতেমাই করত। ইতিমধ্যে বাবা মারা যায় তার৷ মাকে হারিয়েছে অনেক আগেই। ফলে পুরোপুরি ভাবে পুরোহিতের বাড়িতে জায়গা হল। পুরোহিত, ফতেমাকে বোনের মতই ভালোবাসে।ফতেমা ও পুরোহিতকে দাদার মতো শ্রদ্ধা করে , ভালোবাসে , ঘরের সমস্ত কাজ করে দেয়। একরকম ঠিক ঠাকই চলছিল। কিন্তু সমস্যা বাঁধল অন্য দিকে । দুটি ভিন্ন ধর্মের মানুষের একটি ছাদের তলায় বসবাস ভালো চোখে নিলনা । দুটি পৃথক ধর্মের মানুষ ওদের পিছনে পড়ে থাকল। মুসলমানরা যেমন ফতেমাকে ঘৃণা করতে থাকে , তেমনি হিন্দুর ঘরে থাকা , কাজ করা , খাওয়া , পুজোর কাজে সাহায্য করার জন্য এক ঘরে করে দিল। ওরা ভাবল ফতেমা হিন্দু হয়ে গিয়েছে । ওকে একঘরে করে দেওয়া হল। এখবর হিন্দু সমাজে ও চাপা থাকল না , পুরোহিতের বাড়িতে একজন ম্লেচ্ছ জাতির মেয়ে। আশ্রয় পেয়েছে , থাকছে , খাচ্ছে , পুজোর ভোগ তৈরি করছে । তারা মেনে নিতে পারল না ৷ তারা ও পুরোহিতকে বয়কট করতে শুরু করল। কেউ আর পূজার্চনার জন্য ডাকল না । কাজ হারিয়ে পুরোহিত কেও মনমুড়ে যাচ্ছিল দিনকে দিন। জমানো পয়সা ইতি মধ্যে শেষ হয়েছে । খুব অভাবে দিন কাটতে লাগল, কাজের জন্য ওরা হন্যে হয়ে দোরে ঘুরল কেউ কাজ দিল না।
তারপর কি হল তাদের, সেটা জানতে হলে ছবিটা অপেক্ষা করতে হবে এই ছবির মুক্তি পর্যন্ত।