কলকাতা: 'ডান্স বাংলা ডান্স' (Dance Bangla Dance)-এর মঞ্চের বিশেষ পারফর্মম্যান্স ঘিয়ে কয়েকদিন থেকে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া। 'চণ্ডালিকা' নৃত্যনাট্যের পরিবেশনা করা হয়েছে 'ডান্স বাংলা ডান্স'-এর মঞ্চে। প্রতিযোগী অনুষ্কা চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে এই পারফর্মম্যান্সে অংশ নিয়েছিলেন অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত (Debolina Dutta)। অনুষ্কা নৃত্য পরিবেশন করেছেন প্রকৃতির ভূমিকায় আর দেবলীনা নৃত্য পরিবেশন করেছেন আনন্দের ভূমিকায়। আর এই 'চণ্ডালিকা'-র পারফর্মম্যান্সে হিন্দি গানের ব্যবহার নিয়েই উঠেছে যাবতীয় আপত্তি। 'চণ্ডালিকা'-এর এই পরিবেশনায় প্রকৃতি ও আনন্দকে নাচতে দেখা গিয়েছে, ৭০-এর দশকের জনপ্রিয় হিন্দি গান, 'তেরে বিনা জিন্দেগি মে কোই, শিকবা তো নেহি'-র ছন্দে। আর এতেই বিরক্ত আপামর বাঙালি। রবীন্দ্রনাথের 'চণ্ডালিকা'-র সঙ্গে এই গানকে মিলিয়ে ফেলায় যথেষ্ট চটেছেন দর্শককূল।

আর এবার, এই বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিলেন যীশু সেনগুপ্তের (Jisshu Sengupta)-র দিদি, রাই সেনগুপ্ত (Rai Sengupta)। এই পারফর্মম্যান্সের পরে বিচারকদের একাংশ প্রশংসা করলেও কিছু বলেননি যীশু সেনগুপ্ত। নিজের পারফর্মম্যান্স সম্পর্কে মন্তব্য রাখতে গিয়ে দেবলীনা বলেছিলেন, তিনি একাধিকবার 'চণ্ডালিকা' মঞ্চস্থ করেছেন। 'চণ্ডালিকা' নিয়ে যথেষ্ট পড়াশোনা রয়েছে তাঁর। সেই কারণেই এই ফিউশনকে তাঁর অসামঞ্জস্য বলে মনে হয়নি। দেবলীনার বক্তব্যের একাংশ রাই নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, 'বলতে কষ্ট হচ্ছে দেবলীনা, কিন্তু তোর এই অদ্ভুত যুক্তি মানতে পারছি না। আমার মনে হয়, তুই, তোর কোরিওগ্রাফার তোরা পড়িসনি বস, অন্তত চণ্ডালিকা তো নয়ই। পড়লেও বুঝিসনি। তোর অনেক যুক্তি পড়েছি, শুনেছি, শুনছি ও, কিন্তু গভীর অশিক্ষা ছাড়া তার মধ্যে আর কিছুই পাইনি। ভুলটা ভুলই। ভগবান তোর মঙ্গল করুন'

রাইয়ের এই মন্তব্যের কমেন্টবক্সে চাঁচাছোলা কথায় উত্তর দেন দেবলীনা। তিনি লিখেছেন, 'তুমি নিশ্চিত, এই কথাটা আমি বলেছি? মমদির কথার উত্তরে আমি এই কথাটা বলেছি সেটা মমদি নিজেই বিশ্বাস করবেন না। মমদির সঙ্গে আমার ব্যক্তিগতভাবে কথা হয়েছে। কিন্তু তুমি আমায় এতবছর ধরে চেনার পরে, আমার ভাল চাওয়ার পরেও যে আমায় এই কথাগুলো বলার জন্য ফেসবুক বেছে নিলে, তাতে আমি একটু অবাক হলেও খুব একটা অবাক হইনি। কারণ নতুন করে মানুষ চেনার একটা মজা রয়েছে। আর আমি এতবার 'চণ্ডালিকা'-র প্রকৃতির চরিত্রে অভিনয় করেছি যে চণ্ডালিকার প্রত্যেকটা চরিত্র আমার মুখস্থ। ঠাকুর 'চণ্ডালিকা'-য় দুটি বিষয় তুলে ধরেছেন। তার মধ্যে একটি হল প্রকৃতির আনন্দের প্রতি পাগলের মতো ভালবাসা। আর শিক্ষা মানুষের ব্যবহারে। তুমি আমায় অশিক্ষিত বলার জন্য ফেসবুককে বেছে নিয়েছো, এটা তোমার শিক্ষা।'