কলকাতা: বাবা প্রয়াত হয়েছেন দিন চারেক আগে। কিন্তু এখনও যেন সেই কথা বিশ্বাসই করতে পারছেন না মেয়ে রাইমা সেন (Raima Sen)। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই প্রথম বাবা ভরত দেববর্মাকে নিয়ে মুখ খুললেন মেয়ে রাইমা। কী লিখছেন তিনি? 


সোশ্যাল মিডিয়ায় বাবার একটি ছবি শেয়ার করে রাইমা লিখেছেন, 'বাবা.. এখনও যেন কিছুই লিখে উঠতে পারছি না। তুমি কেমন বাবা ছিলে, কেমন স্বামী ছিলে.. সেটা লেখার জন্য সমস্ত শব্দই যেন কম বলে মনে হচ্ছে আমার কাছে। বাবা.. তুমি ভাল থাকো আর যেখানেই থেকো, জীবনটাকে খুব বড় করে বেঁচো, ঠিক যেমনটা তুমি করে এসেছো। তোমায় মিস করব। আর সারাজীবন তোমায় ভালবাসব।' ১৯ নভেম্বর, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন মুনমুন সেনের স্বামী ভরত দেববর্মা। সেই সময়ে কাছে ছিলেন না মুনমুন সেন। তিনি কাজের জন্য বাইরে ছিলেন। দিল্লিতে। স্বামীর মৃত্যুর খবর পেয়ে তড়িঘড়ি কলকাতায় ফিরে আসেন তিনি। 


ত্রিপুরা রাজপরিবারের সন্তান ভরত দেববর্মার সঙ্গে ১৯৭৮ সালে বিয়ে হয় মুনমুন সেনের।  আগাগোড়াই বিভিন্ন বিষয়ে স্বামীর সাহচর্য পেয়েছেন মুনমুন। সে বিয়ের পর সিনেমায় অভিনয়ই হোক বা রাজনীতিতে অংশ নেওয়া। সবসময় স্ত্রীর ইচ্ছেকে প্রাধান্য দিতেন ভরত। আজীবন পাশে থাকা মানুষটির শেষ বেলায় পাশে থাকতে পারেনি মুনমুন। ছিলেন রাজধানী দিল্লিতে। হঠাৎ করেই স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে চলে গেলেন ভরত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, মধুমেহ থাকলেও এমনি সুস্থই ছিলেন । সম্প্রতি পার্টিও করেছেন। কিন্তু সোমবার রাতে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সময় দেননি চিকিৎসা করার । 


ভারত দেব বর্মা ত্রিপুরার রাজপরিবারের সন্তান। ভরতের মা ইলা দেবী ছিলেন কোচবিহারের রাজকন্যা এবং জয়পুরের মহারানী গায়ত্রী দেবীর বড় বোন। ভরতের ঠাকুরমা ইন্দিরা ছিলেন ভাদোদরার মহারাজা তৃতীয় সারজি রাও গায়কোয়াড়ের একমাত্র মেয়ে। পরে অভিনেত্রী মুন মুন সেনের সঙ্গে আলাপ ও বিয়ে। তাঁদের দুই সন্তান রাইমা এবং রিয়া সেন। ভরত দেববর্মার প্রয়াণের খবর পেয়ে সেখানে এসে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়


আরও পড়ুন: Shiboprosad on Bohurupi: ৭ সপ্তাহ পার, এখনও 'বহুরূপী' দেখতে হলমুখী হচ্ছেন দর্শক? কী বলছেন শিবপ্রসাদ?


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।