ইসলামাবাদ: রণবীর কপূরদের পাকিস্তানের পৈত্রিক বাড়ি নিয়ে জটিলতা অব্যাহত। পেশোয়ারে তাঁদের বাড়ির বর্তমান মালিক স্থানীয় সরকারের অফার করা দামে বাড়িটি বিক্রি করতে রাজি হচ্ছেন না। হাজি আলি সাবির নামে ওই ব্যক্তির অভিযোগ, খাইবার পাখতুনখোয়া সরকার যে দাম দিচ্ছে, তা যে লোকেশনে ওই বাড়ি রয়েছে, সেই তুলনায় খুবই কম। ভারতীয় হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি বা বলিউডের প্রতিনিধিত্বকারী কপূর পরিবারের শীর্ষ ব্যক্তিত্ব রাজ কপূরের বাবা পৃথ্বীরাজ কপূর পেশোয়ারের সেই ভিটে, যা কপূর হাভেলি বলেই পরিচিত, ছেড়ে পাকাপাকি এপারে চলে এসেছিলেন। পেশোয়ারের নামী এলাকা বলে খ্যাত কিসা খাওয়ানি বাজারে অবস্থিত বাড়িটি ১৯১৮ থেকে ১৯২২ সালের মধ্যে তৈরি করেছিলেন রাজ কপূরের দাদু দেওয়ান ভবেশ্বরনাথ কপূর। রাজ কপূর, তাঁর কাকা ত্রিলোক কপূরের জন্ম সেখানেই।
কপূরদের কোনও প্রতিনিধিই আর ওপারে নেই। ফলে বাড়িটিকে জাতীয় হেরিটেজ বলে ঘোষণা করেছে স্থানীয় সরকার। তাদের প্ল্যান, সেখানে রাজ কপূরের স্মৃতিতে একটি মিউজিয়াম তৈরি হবে। সেজন্য তারা সেটি কিনে নিতে চাইছে। চলতি মাসের শুরুতে খাইবার পাখতুনখোয়া সরকার সেটি কিনে নিতে দেড় কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে। কিন্তু বর্তমান মালিক স্থানীয় একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে জানিয়ে দিয়েছেন, দেড় কোটি টাকা খুবই কম দাম। তিনি ওই দামে কিছুতেই সেটি বিক্রি করবেন না। তাঁর মতে, ২০০ কোটি টাকা দাম হওয়া উচিত। ওটাই ঠিকঠাক দাম। তিনি বলেছেন, ওই এলাকায় অর্ধেক মারলা জমিও দেড় কোটি টাকায় পাওয়া যায় না। তাহলে ৬ মারলা আয়তনের একটা সম্পত্তি কী করে দেড় কোটি টাকায় বিক্রি করি? মারলা পাকিস্তানে জমির ইউনিট হিসাবে চালু। এক মারলা ২৭২.২৫ বর্গফুটের সমান।
পাশাপাশি আরেক প্রবীণ বলিউড অভিনেতা দিলীপ কুমারেরও বাড়ি পেশোয়ারে।
প্রসঙ্গত, প্রয়াত ঋষি কপূর নয়ের দশকে পাকিস্তান সফরে গিয়ে সেদেশের সরকারকে আবেদন করেছিলেন, কপূর হাভেলির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিয়ে তাঁদের পরিবারের হয়ে সেখানে কিছু করা হোক। তারপরও বহু আইনি জটিলতা মাথাচাড়া দেয়।