মুম্বই: 'থালাইভা'-র মুকুটে নতুন পালক। দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে  সম্মানিত হচ্ছেন দক্ষিণী সুপারস্টার রজনীকান্ত। ৫১তম দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার  পাচ্ছেন তিনি। আজ  তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর ডিরেক্টরেট অব ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে এই ঘোষণা করেন। 


আজ প্রকাশ জাভড়েকর ট্যুইটারে লেখেন, 'আমি ভীষণ খুশি হয়ে জানাচ্ছি যে ২০২০ সালের দাদাসাহেব ফালকে সম্মানে সম্মানিত হচ্ছেন অন্যতম সেরা  অভিনেতা রজনীকান্ত জি। প্রযোজক, অভিনেতা ও চিত্রনাট্যকার হিসাবে ওনার অবদান চিরকাল মনে রাখা হবে।' এই পুরষ্কার পাওয়া দ্বাদশ ব্যক্তি তিনি। বিজেপির জাতীয় সচিব সিটি রবি রজনীকান্তকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ট্যুইট করেন। লেখেন, থালাইভি রজনীকান্তকে দাদাসাহেব ফালকে সম্মানে সম্মানিত হওয়ার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা। ভারতীয় সিনেমায় ওঁর অবদান মনে রাখা হবে।'


রজনীকান্তের এই সাফল্যে তাঁকে ট্যুইট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদিও।



সম্প্রতি রাজনীতিতে যোগদান নেওয়া নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল রাজনীকান্তকে ঘিরে। কিন্তু ট্যুইটারে তিনি জানিয়ে দেন, এখন রাজনীতিতে যোগদান করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। গত বছরের ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি নতুন বছরে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন রজনীকান্ত। তাঁর যে ঘোষণার পরই তুমুল সাড়া পড়েছিল তাঁর ভক্তদের মধ্যে।  ডিসেম্বরের ৩ তারিখ কার্যত রণংদেহী মেজাজে রাজনৈতিক ভূমিতে নামার অঙ্গিত দিয়ে রজনীকান্ত বলেছিলেন, 'হয় এখন নয়তো কখনোই নয়।'

কিন্তু নতুন বছর আসার আগেই স্বাস্থ্যের একাধিক সমস্যার জেরে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল রজনীকান্তকে। যার কিছুদিনের মধ্যেই তিনি আগের ঘোষণা থেকে একশো আশি ডিগ্রি উল্টোপথে হেঁটে জানিয়ে দিয়েছিলেন, রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করছেন তিনি।

স্বাস্থ্যজনিত সমস্যাকেই যার কারণ হিসেবেও জানিয়েছিলেন রজনীকান্ত। তিনি বলেছিলেন, 'আমার হাসপাতালে ভর্তি হওয়াটাকে ঈশ্বরের নিষেধাজ্ঞা হিসেবেই দেখছি। গভীর দুঃখের সঙ্গেই জানাতে চাই রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা থেকে পিছিয়ে আসছি।' মেগাস্টার রজনীকে রাজনৈতিক ময়দানে দেখার আবদার তাঁর ভক্তদের নতুন নয়। গত ২৫ বছর ধরে তাঁকে সেই অনুরোধ করেছেন ভক্তরা।


আপাতত রাজনৈতিক সমস্ত জল্পনা মুলতুবি রেখে থালাইভি ব্যস্ত নতুুন সাফল্য উদযাপনে।