নয়াদিল্লি: স্বল্প সঞ্চয়ে সুদের হার হ্রাসের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করল কেন্দ্র। নানা মহলে সমালোচনার মুখে পড়ে সুদের হার হ্রাসের সিদ্ধান্তের কয়েক ঘণ্টা পরেই তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হল। ভারত সরকারের স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পগুলিতে ২০২০-২১ এর শেষ ত্রৈমাসিকের সুদের হারই বহাল থাকবে। অর্থাৎ, গত মার্চ পর্যন্ত যে সুদের হার ছিল, তাই-ই বহাল থাকবে। সুদ কমানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
ভুল করে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে গিয়েছিল, সাফাই অর্থমন্ত্রকের।
বুধবার অর্থমন্ত্রক স্বল্প সঞ্চয়ে সুদের হার ৫০-১০০ বেসিস পয়েন্ট হ্রাসের কথা ঘোষণা করেছিল। ক্ষুদ্র সঞ্চয়ে সুদের হার নিয়ে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। পেট্রোল-ডিজেলের দাম উর্ধ্বমুখী। জিনিসপত্রের দামও লাগামছাড়া। এই পরিস্থিতিতে মধ্যবিত্তের ভরসার স্থল স্বল্প সঞ্চয়ে সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। সবমিলিয়ে এই সিদ্ধান্ত ছিল কার্যত মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো। পশ্চিমবঙ্গ সহ পাঁচ রাজ্যে নির্বাচনের মুখে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে।
গতকালের বিজ্ঞপ্তিতে স্বল্প সঞ্চয়ে সুদের হার ০.৫ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্তর কথা জানায় কেন্দ্র। এর ফলে, স্বল্প সঞ্চয়ে সুদের হার ৪ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়াত ৩.৫ শতাংশ। গতকালের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল যে, ১ এপ্রিল থেকে সুদের নতুন হার কার্যকর হচ্ছে।
গতকালের ওই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, কোপ পড়েছে পিপিএফ-এর হারেও। এক্ষেত্রে পিপিএফ-এর সুদের হার ৭.১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬.৪ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। তা কার্যকর হলে পিপিএফে সুদের হার কমে হত গত ৪৬ বছরে সর্বনিম্ন।
শুধু পিপিএফ নয়, ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট সুদের হার ৬.৮ শতাংশ থেকে ৫.৯ শতাংশ করা হয়। সেভিংস ডিপোজিট সুদের হার কমে হয় ৩.৫ শতাংশ।
শেষ পর্যন্ত নানা মহলের সমালোচনার মুখে পড়ে সুদ হ্রাসের সিদ্ধান্ত নিয়ে একদিনের মধ্যেই পিছু হঠল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী সুদ হ্রাসের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের কথা জানান এদিন সকালেই।