কলকাতা: তিনি বাঙালি কন্যা। চণ্ডীগড়ের বিলাসবহুল ভিলায় যতই বিয়ের আসর বসুক না কেন, বাঙালি ছোঁয়া থাকবে না তাও কি হয়! ১১ বছরের প্রেমিকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে বাঁধা পড়ছেন তিনি। নিজেকে মনের মত করে সাজালেন পত্রলেখা (Patralekhaa)। বিয়ের ভেল বা ওড়নায় বাংলা হরফে লেখালেন, 'আমার পরাণ ভরা ভালোবাসা আমি তোমায় সমর্পণ করিলাম।' 


পত্রলেখার লেহঙ্গা ডিজাইন করেছেন তিনি, তাঁর শিকড়ও এই বাংলাতেই। সব্যসাচী মুখোপাধ্যায় (Sabyasachi Mukherjee)। বাংলার এই ফ্যাশান ডিজাইনারের পোশাকই এখন বলিউডের প্রথম সারির নায়িকাদের পছন্দ। দীপিকা পাড়ুকোন থেকে শুরু করে অনুষ্কা শর্মা, প্রিয়ঙ্কা চোপড়া, নিজের জীবনের সবচেয়ে বিশেষ দিনের জন্য সব্যসাচীর পোশাকই বেছেছিলেন তাঁরা। দীপিকার ওড়নাতেও দেখা গিয়েছিল এমন লেখা, তবে তা দেবনগরী হরফে। পত্রলেখা বাঙালি, তাই নিজের মনের কথা লিখলেন নিজের ভাষায়। 


আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট শেয়ার করে পত্রলেখা লেখেন, 'আমার সবকিছুকে আমি আজ বিবাহ করলাম। আমার প্রেমিক, আমার পার্টনার ইন ক্রাইম, আমার পরিবার, আমার প্রাণের দোসর। গত ১১ বছরে আমার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু। তোমার স্ত্রী হওয়ার চেয়ে সুখ এই পৃথিবীকে আর নেই। 



অন্যদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিয়ের দুটি ছবি শেয়ার করেন রাজকুমার (Rajkumar Rao)। ৮০০ একর প্রাকৃতিক জঙ্গলের মধ্যে নির্মিত দ্য ওবেরয়'স কোহিনূর ভিলায় চার হাত এক হল নবদম্পতির। রাজকুমার লিখলেন, '১১ বছরের ভালোবাসা, রোম্যান্স, বন্ধুত্ব, মজা পেরিয়ে আমার জীবনের সবকিছুকে আমি আজ বিয়ে করলাম। আমার প্রাণের দোসর, আমার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু, আমার পরিবার। আজ আমার কাছে তোমার স্বামী ডাকের থেকে বড় সুখ আর নেই। পত্রলেখা.. আমাদের চিরদিনের যাত্রা শুরু হল।'



প্রসঙ্গত, শোনা যায়, একটি বিজ্ঞাপনে প্রথমবার পত্রলেখাকে দেখেন রাজকুমার রাও। সেখানেই তাঁকে মন দিয়ে বসেন 'স্ত্রী' অভিনেতা। অন্যদিকে রাজকুমারকে পত্রলেখা প্রথমবার খেয়াল করেন 'লভ, সেক্স অউর ধোকা' ছবিতে। যদিও প্রথম দেখায় একেবারেই পত্রলেখার মনে জায়গা করে নিতে পারেননি রাজকুমার। পরবর্তীকালে একসঙ্গে ছবিও করেন তাঁরা। বেশ কিছুদিন বন্ধুত্বের সম্পর্কে থাকার পর তাঁরা নিজেদের সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে জানান।