মুম্বই: প্রেমিক প্রেমিকা নয়, এখন তাঁরা স্বামী-স্ত্রী। ১১ বছরের প্রেম পরিণতি পেল সাতপাকে। বিবাহবন্ধনে বাঁধা পড়লেন রাজকুমার রাও আর তাঁর দীর্ঘদিনের প্রেমিকা পত্রলেখা। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিয়ের ছবি শেয়ার করতেই শুভেচ্ছার বন্যায় ভাসলেন নবদম্পতি। শুভেচ্ছা জানালেন বলিউডের অভিনেতা অভিনেত্রী থেকে শুরু করে সমস্ত অনুরাগীরা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিয়ের দুটি ছবি শেয়ার করেন রাজকুমার। ৮০০ একর প্রাকৃতিক জঙ্গলের মধ্যে নির্মিত দ্য ওবেরয়'স কোহিনূর ভিলায় চার হাত এক হল নবদম্পতির। রাজকুমার লিখলেন, '১১ বছরের ভালোবাসা, রোম্যান্স, বন্ধুত্ব, মজা পেরিয়ে আমার জীবনের সবকিছুকে আমি আজ বিয়ে করলাম। আমার প্রাণের দোসর, আমার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু, আমার পরিবার। আজ আমার কাছে তোমার স্বামী ডাকের থেকে বড় সুখ আর নেই। পত্রলেখা.. আমাদের চিরদিনের যাত্রা শুরু হল।'
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট শেয়ার করে পত্রলেখা লেখেন, 'আমার সবকিছুকে আমি আজ বিবাহ করলাম। আমার প্রেমিক, আমার পার্টনার ইন ক্রাইম, আমার পরিবার, আমার প্রাণের দোসর। গত ১১ বছরে আমার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু। তোমার স্ত্রী হওয়ার চেয়ে সুখ এই পৃথিবীকে আর নেই।'
রাজকুমারের পোস্টে প্রিয়ঙ্কা চোপড়া মন্তব্য করেন, 'আমি কাঁদছি না তুমি কাঁদছো। অনেক শুভেচ্ছা।' পত্রলেখার পোস্টে প্রিয়ঙ্কা লেখেন, 'তোমাদের নজরকাড়া দেখতে নজরকাড়া লাগছে।' তাপসী পান্নু লেখেন, 'তোমরা একে অপরের জন্য তৈরি। শুভেচ্ছা।' অনিল কপূর লেখেন, 'অনেক শুভেচ্ছা বন্ধু। আমি যদি এইসময় চণ্ডীগড়ে থাকতে পারতাম ভালো হল। মিসেস পত্রলেখা রাজকুমার রাওয়ের সঙ্গে খুব তাড়াতাড়ি দেখা হচ্ছে মুম্বইতে।'
'পরাণ ভরা ভালোবাসা সমর্পণ', পত্রলেখার বিয়ের পোশাকে বাংলার পরশ
তিনি বাঙালি কন্যা। চণ্ডীগড়ের বিলাসবহুল ভিলায় যতই বিয়ের আসর বসুক না কেন, বাঙালি ছোঁয়া থাকবে না তাও কি হয়! ১১ বছরের প্রেমিকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে বাঁধা পড়ছেন তিনি। নিজেকে মনের মত করে সাজালেন পত্রলেখা (Patralekhaa)। বিয়ের ভেল বা ওড়নায় বাংলা হরফে লেখালেন, 'আমার পরাণ ভরা ভালোবাসা আমি তোমায় সমর্পণ করিলাম।'
'তোমার স্বামী পরিচয়েই আমার সুখ', পত্রলেখাকে সিঁদুর পরিয়ে বললেন রাজকুমার
পত্রলেখার লেহঙ্গা ডিজাইন করেছেন তিনি, তাঁর শিকড়ও এই বাংলাতেই। সব্যসাচী মুখোপাধ্যায় (Sabyasachi Mukherjee)। বাংলার এই ফ্যাশান ডিজাইনারের পোশাকই এখন বলিউডের প্রথম সারির নায়িকাদের পছন্দ। দীপিকা পাড়ুকোন থেকে শুরু করে অনুষ্কা শর্মা, প্রিয়ঙ্কা চোপড়া, নিজের জীবনের সবচেয়ে বিশেষ দিনের জন্য সব্যসাচীর পোশাকই বেছেছিলেন তাঁরা। দীপিকার ওড়নাতেও দেখা গিয়েছিল এমন লেখা, তবে তা দেবনগরী হরফে। পত্রলেখা বাঙালি, তাই নিজের মনের কথা লিখলেন নিজের ভাষায়।