নয়াদিল্লি:  কর্ণ জোহর পরিচালিত ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’-এর মুক্তির দিন যতই এগোচ্ছে, ততই একাধিক হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে এই ছবিকে। আজ এপ্রসঙ্গে কথা বলতেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন কর্ণ জোহর। সূত্রের খবর, রাজনাথ সিংহের পক্ষ থেকে নিরাপদে ছবির মুক্তির আশ্বাস দেওয়া হয়েছে


‘এডিএইচএম’-এর টিমকে। এছাড়াও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, যেকোনও রকমের হিংসা এড়াতে ১০০ শতাংশ পুলিশি নিরাপত্তারও ব্যবস্থা থাকবে দেশের সমস্ত মাল্টিপ্লেক্স ও হলের সামনে। এবিষয় তিনি দেশের সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন।

আজ ছবির অন্য প্রযোজকদের সঙ্গে মুকেশ ভট্টও গিয়েছিলেন রাজনাথের সঙ্গে দেখা করতে। তারপর সেখান থেকে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের সামনে মুকেশ দাবি করেন, তিনি যখন এখানে এসেছিলেন, তখন তিনি খুব চিন্তায় ছিলেন। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে, তাঁর আশ্বাসে ‘এডিএইচএম’-এর টিম সদস্যদের মনে হয়েছে, আসন্ন দেওয়ালি তাঁদের জন্যে খুশির বার্তাই নিয়ে আসবে।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় আজ ছবির প্রযোজক দলের সদস্যদের সঙ্গে রাজনাথের কাছে যান। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা বা এমএনএস-এর রাজ ঠাকরেকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন এবং এমএনএস-কে গুন্ডাদের দলও বলেন। এভাবে কোনও ছবিতে শুধুমাত্র পাকিস্তানি শিল্পী অভিনয় করার জন্যে, সেছবির মুক্তি আটকে রাখা বা হল ভাঙচুরের হুমকি আইন বিরুদ্ধ। মহারাষ্ট্র নব নির্মাণ সেনার কোনও অধিকার নেই আইন নিজেদের হাতে নিয়ে নেওয়ার।

তবে পাকিস্তানের উরি হামলার পর বলিউডের একাংশ দাবি তোলে, বলিউডি ছবিতে আর পাকিস্তানি অভিনেতা-অভিনেত্রীদের অভিনয় করানো যাবে না। যদিও এই দাবির বিরুদ্ধ সরব হয়েছে বলিউডের একাংশ।

এই বিতর্কের মাঝেই, ছবির পরিচালক কর্ণ জোহর একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, তাঁর কাছে দেশ সবার আগে। ভবিষ্যতে তিনি আর কখনও কোনও পাকিস্তানি অভিনেতা-অভিনেত্রীকে তাঁর ছবিতে অভিনয় করানোর জন্যে সই করাবেন না। তবে অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল-এ পাকিস্তানি অভিনেতা ফওয়াদ খানকে যখ অভিনয় করানোর জন্যে সই করানো হয়, তখন ভারত-পাক সম্পর্ক এতটা সমস্যাবহুল ছিল না।

উরি হামলা এবং তার পরবর্তী পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের মাটিতে ভারতের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়েছে। তারপর থেকেই ভারতে পাকিস্তানি অভিনেতা-অভিনেত্রীদের অভিনয় করা নিয়ে তৈরি হয়েছে বহু বিতর্ক। তার মাঝেই ফেঁসে গেছে ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’।