কলকাতা: তিনি যেন হাসির সমার্থক। পর্দায় তিনি আসলেই দর্শকের মুখে হাসি ফুটে ওঠে। কিন্তু কথায় বলে, মানুষকে হাসানো সবচেয়ে কঠিন। নিজের জীবনের চূড়ান্ত সব হতাশা, মনখারাপকে আড়াল করে দর্শককে হাসি উপহার দেওয়া যে ঠিক কতটা কঠিন এর আগেই বলেছেন হাস্যকৌতুক শিল্পীরা। এবার সেই তালিকায় যোগ হল শিল্পী রাজপাল যাদবের (Rajpal Yadav)-এর নাম। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেন শিল্পী। 


রাজপাল যাদবের প্রথম বিয়ে হয়েছিল দেখাশোনা করে। বাবার পছন্দতে বিয়ে করেছিলেন অভিনেতা। কিন্তু মেয়ের জন্ম নেওয়ার সময় মৃত্যু হয় রাজপালের প্রথম স্ত্রীর। সালটা ছিল ১৯৯১, রাজপালের বয়স তখন মাত্র ২০ বছর। দিল্লির ন্যাশানাল স্কুল অফ ড্রামার ছাত্র তখন তিনি। সাক্ষাৎকারে রাজপাল বলছেন, 'সেসময় সমাজের পরিস্থিতি এমনই ছিল। কোনও ছেলের বয়স ২০ হয়ে যেত, সে উপার্জন করত, তাকে বিয়ে করে সংসারী হওয়ার কথাই বলা হত। আমার বাবাও সেটাই বলেছিলেন। সেইমতো আমার বিয়ে হয়। আমার স্ত্রী সন্তান জন্ম দেওয়ার সময় মারা যান। পরের দিন আমার ওকে দেখতে যাওয়ার কথা ছিল। হল না। বদলে আমি ওর দেহ কাঁধে করে নিয়ে এলাম। কিন্তু আমার বাবা-মা, পরিবারের সবাই, ওর মাসি.. কেউ কখনও বুঝতেই দেয়নি আমার মেয়ের মা নেই। ভীষণ আদরেই ও বড় হয়েছে।'                                                     


নিজের দ্বিতীয় বিয়ে নিয়েও কথা বলেন রাজপাল। অভিনেতার কথায়, 'আমার যখন রাধার সঙ্গে দেখা হয়, আমার বয়স ৩১ বছর। একটা শ্যুটে গিয়ে ওর সঙ্গে আমার দেখা হয়। তারপরেই যোগাযোগ শুরু। এরপরে, দুই পরিবারের সম্মতিতে আমরা বিয়ে করি। রাধা আমার বড় মেয়েকেও ভীষণ ভালবাসে আর ওকে বড় করে তোলায় ওর অনেক ভূমিকা রয়েছে।' আগামীকে সত্যপ্রেম কী কথা ছবিতে দেখা যাবে রাজপাল যাদবকে।


আরও পড়ুন: Nuts Good For Hair: চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে কোন কোন বাদাম? কীভাবেই বা করে উপকার?


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial