কলকাতা: বিপাকে পরিচালক রামগোপাল বর্মা। চেক বাউন্স কেসে ৩ মাসের জন্য সংশোধনাগারে যেতে হবে তাঁকে। সাত বছর ধরে তাঁর বিরুদ্ধে একটা চেক বাউন্স মামলা চলছিল। সেই মামলায় রায় হয়েছে। পরিচালক দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। জামিন অযোগ্য ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছিল মামলা। আর সেই মামলাতেই ৩ মাসের জন্য কারাবাসে যেতে হবে পরিচালককে। ২১ জানুয়ারি এই ঘটনায় রায় দেয় অন্ধেরি ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। তবে এই দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন না রামগোপাল নিজে। আদালত অভিনেতাকে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারির নির্দেশ দিয়েছে। 


সম্প্রতি দেওয়া একটি বক্তব্যে এই বিষয়ে রামগোপাল বর্মা বলেছিলেন, 'অন্ধেরি কোর্টে আমার নামে ৭ বছরের পুরনো একটা মামলা চলছে। আমারই এক প্রাক্তন এমপ্লইয়ের ২ লাখ ৩৮ হাজার টাকার একটি চেক বাউন্স হওয়ার ঘটনাতেই এই মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এর থেকে বেশি এই কেস নিয়ে কথা বলা বা মনগড়া গল্প তৈরি করার কোনও প্রয়োজন নেই। কোর্টে এই কেসটা চলছে। এর থেকে বেশি আমি আর কিছু বলতে চাই না।' ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৮ সালে। রামগোপাল বর্মা ও শ্রী নামে এক সংস্থার মধ্যে আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। চেক বাউন্স করার অভিযোগ ওঠে পরিচালকের বিরুদ্ধে। জানা যায়. তিন মাস সময় থাকা সত্ত্বেও রামগোপালের অ্যাকাউন্টে ৩.৭২ লক্ষ টাকা ছিল না। এর জেরেই ওই সংস্থাটি পরিচালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। এর পরে, এই মামলায় একাধিক শুনানি হয়েছে। তবে এই মামলায় রামগোপাল আদালতকে সহযোগিতাও করেননি বলে জানা যাচ্ছে। এমনকি বেশ কিছু শুনানিতে তাঁর অনুপস্থিতি ঘটনাকে আরও জটিল করে তোলে।


অন্যদিকে, ২২ জানুয়ারি নিজের নতুন ছবি 'সিন্ডিকেট'-এর ঘোষণা করেছিলেন রামগোপাল বর্মা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি এই ছবি নিয়ে জানান, সেখানে দেখা যাবে, সাংঘাতিক একটা সংস্থা বারে বারে হুমকি দিচ্ছে দেশকে। গত সপ্তাহেও মুক্তি পেয়েছে 'সত্য'। সেই ছবির প্রিমিয়ারেও উপস্থিত ছিলেন রামগোপাল বর্মা। তবে আদালতে তাঁর হাজিরা দিতে কার্যত অনীহাই লক্ষ করা গিয়েছে। এবার এই মামলায় রায় শোনাল আদালত। এও জানা যাচ্ছে, নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে আগামী ৩ মাসের মধ্যে রামগোপাল বর্মাকে ওই সংস্থাকে ৩.৭২ লাখ টাকা মিটিয়ে দিতে হবে।


আরও পড়ুন: Monami Thakur: অনুষ্ঠানের মধ্যেই হঠাৎ অসুস্থ, 'ভুয়ো খবর' নিয়ে এবার মুখ খুললেন মোনালি ঠাকুর