কলকাতা: মমতা কুলকার্নির মহামন্ডলেশ্বর হওয়াকে এবার বিঁধলেন যোগগুরু রামদেব। সদ্যই মহাকুম্ভে গিয়ে সন্ন্যাস নিয়েছেন বলিউডের একসময়ের আবেদনময়ী অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নি। তবে এখন অভিনয় থেকে অনেক দূরে তিনি। সদ্যই মহাকুম্ভে গিয়ে সন্ন্যাস নিয়েছেন মমতা কুলকার্নি। গেরুয়া বসন, মহামন্ডলেশ্বর হওয়া, এই সমস্ত কিছুকেই বিঁধে যোগগুরু রামদেবের দাবি, 'একদিনে কেউ সন্ন্যাসী হয়ে যেতে পারে না।'
রামদেব মমতা কুলকার্নির মহামন্ডলেশ্বর হওয়াকে কটাক্ষ করে বলেছেন, 'বিশ্বের যাবতীয় সবকিছু ভোগ করে আচমকা সন্ন্যাসী হওয়ার ইচ্ছে হয়েছে। ভাবছেন এক দিনেই মহামণ্ডলেশ্বর তকমা পেয়ে যাবেন।' এছাড়াও রামদেব অভিযোগ আনেন, বাবা তকমা দিয়ে অনেকেই মহাকুম্ভে প্রচার পাওয়ার চেষ্টা করছেন। সেটাও তিনি মেনে নেবে না বলেই জানিয়েছেন। সনাতন ধর্ম একটা অনুভূতি, চিরন্তন সত্য, যা অস্বীকার করা যায় না। তাকে নিয়ে হেলাফেলাও করা যায় না। কুম্ভের আসল সারমর্ম হল মানবতা, দেবত্ব, সাধুত্ব তুলে ধরা।'
মমতা কুলকার্নির সন্ন্যাস গ্রহণ করা নিয়ে আচার্য মহামন্ডলেশ্বর লক্ষ্মী নারায়ণ বলেছিলেন, 'গত দেড় বছর ধরে উনি আমার আর কিন্নর আখড়ার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেই চলছিলেন। এর আগে জুনা আখড়ার মহামন্ডলেশ্বরের সঙ্গে দীক্ষা নিয়েছিলেন উনি। ওঁর গুরু ব্রহ্নলীন হওয়ার পরে, মমতা কোনও দিশা খুঁজে পাচ্ছিলেন না। দু-তিন মাস আগে উনি ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন যে উনি সনাতন ধর্মের সঙ্গে সরাসরি ও পুরোপুরি যুক্ত হতে চান। উনি নিজেই আখড়াতে এসে বলেছিলেন, ওঁর কোনও একটা পদ চাই। মহামন্ডলেশ্বর হওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন মমতা, বলেন বৃন্দাবনের আশ্রমের প্রচার ও প্রসারের জন্য কাজ করতে চান। এই কথা শুনে ওঁর সামনে আমরা কিছু শর্ত রেখেছিলাম। আমরা বলেছিলাম, ওঁকে সন্ন্যাস নিতে হবে। অন্য পৃথিবী ছেড়ে আমাদের সঙ্গে এসে থাকতে হবে। সনাতন ধর্ম কারও শিল্পের ওপর কোনও বিধিনিষেধ আরোপ করে না। তাই মমতাকে বলা হয়েছিল, কোনও ধার্মীক চরিত্র পেলে তিনি অভিনয়ও করতে পারেন। যাঁরাই সনাতন হতে চাইবেন, সবাইকে একসঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাবে এই ধর্ম। মমতা সম্পূর্ণভাবে সনাতন হতেই চেয়েছিলেন। যে সনাতন ধর্মাবলম্বী, কিন্নর আখাড়া তাঁদের নিজের করে নেবেই। সনাতন ধর্মের প্রচার ও প্রসার নিয়ে মমতা কাজ করুক, এটাই আমার ইচ্ছা।'
আরও পড়ুন: Shahid Kapoor: শাহিদ কপূর কী বাস্তবেও 'জব উই মেট'-এর 'আদিত্য'? কী বলছেন স্ত্রী মীরা?
'