কলকাতা: তাঁর অভিজ্ঞতার ঝুলিটি নেহাত ছোট নয়। জীবনে প্রথম অভিনয় শুরু করেছিলেন মৃণাল সেনের হাত ধরে। সত্যজিৎ রায় থেকে শুরু করে উত্তমকুমার... কিংবদন্তিদের সংস্পর্শে এসে পরিপূর্ণ হয়েছেন তিনি। ঝুলিতে জমেছে অনেক গল্প। মৃণাল সেন তাঁকে ক্যামেরার সামনে দাঁড় করিয়ে নির্দেশ দিতেন, যা খুশি বলে যাওয়ার। জীবনের প্রথম ছবিতে অভিনয়ের সেই অভিজ্ঞতা কখনও ভুলবেন না তিনি। অন্যদিকে, সত্যজিৎ রায় আবার ছবি এঁকে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন চিত্রনাট্য। কখনও অভিনয়ের প্রথাগত শিক্ষা ছিল না। বাড়ির দুর্গাপুজোয় কবিগানের লড়াই ছিল প্রথম অভিনয়ে হাতেখড়ি। এরপর বিভিন্ন গুণী শিল্পীদের সংস্পর্শে এসে শিখেছেন অভিনয়ের খুঁটিনাটি। যেমন উত্তমকুমারের থেকে শিখেছিলেন, সিঁড়ি থেকে পড়ে যাওয়ার টেকনিক। অভিজ্ঞতা তাঁকে শিখিয়েছিল,  খ্যাতি প্রথম কয়েকটা ছবি উতরে দিতে পারে বটে, কিন্তু অভিনয় জগতে নিজের জায়গা করে নেওয়ার জন্য প্রয়োজন প্রতিভা। মেয়ে কোয়েলকে সেই শিক্ষাই দিয়েছিলেন প্রবীণ এই অভিনেতা। ৫০ বছর পেরিয়ে প্রবীণ এই অভিনেতা এখনও ইন্ডাস্ট্রির ‘নবাব’। সামনেই মুক্তি পাচ্ছে তাঁর নতুন ছবি, ‘তারকার মৃত্যু’। বর্তমানে কেমন করে কাটে তাঁর জন্মদিন? এবিপি লাইভে জন্মদিনের গল্পে অচেনা রঞ্জিত মল্লিক (Ranjit Mallick)। 


ছোটবেলায় জন্মদিন বলতে মনে পড়ে মায়ের হাতের পায়েস। এবিপি লাইভকে রঞ্জিত মল্লিক বলছেন, 'ছোটবেলায় বাড়িতেই এতজন ছিলেন যে বাইরে থেকে আর আলাদা করে মানুষ আসার প্রয়োজন হত না। ভাই-বোন মিলিয়ে যেন একটা উৎসব। তখন থেকে এখন.. জন্মদিনে যে বিষয়টা নিয়মিত রয়েছে সেটা হল পায়েস। ছোটবেলায় মা বানিয়ে দিতেন পায়েস। এখনও প্রত্যেক বছর জন্মদিনে পায়েসটা মাস্ট।'


সময় বদলেছে। এখন জন্মদিনে অভিনেতার সঙ্গী কারা? রঞ্জিত মল্লিক বলছেন, 'এই বয়সে আর কীসের উদযাপন। তবে পরিবারের সবাই বাড়িতে আসে। কোয়েল (Koel Mallick), রানে (Nishpal Singh Raane) আর আমার গুরু। কোয়েলের ছেলে কবীরকে গুরু বলে ডাকি আমি। ওও আমায় গুরু বলে। জন্মদিনে এখন কেক আসে প্রত্যেক বছর। আর সেই কেকের ওপর সবচাইতে আগ্রহ গুরুর। ওর সঙ্গে কেক কটা, গল্পগুজবে কেটে যায় সময়। বাড়িতে খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করা হয়। আর জন্মদিন যেখানেই উদযাপন হোক না কেন.. পায়েসটা থাকবেই।'


আরও পড়ুন: Ranbir Kapoor Birthday: ব্যক্তিগত জীবনে সমস্যা, বাবা-মায়ের খারাপ সম্পর্ক বিব্রত করত রণবীরকে!