সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: ফের ঘূর্ণাবর্তের চোখরাঙানি। শুক্রবার উত্তর আন্দামান সাগর (Andaman Sea) ও পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে i9Bay of Bengal) ঘূর্ণাবর্ত তৈরির পূর্বাভাস। শনিবার পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরের মায়ানমার উপকূলে এটি শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলে মত আবহাওয়াবিদদের। এরপর এই নিম্নচাপ উত্তর বঙ্গোপসাগরের দিকে উত্তর-পশ্চিম অভিমুখে অগ্রসর হবে এবং আরও শক্তি বাড়াবে বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদদের।


দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া কেমন?
দক্ষিণবঙ্গে আংশিক মেঘলা আকাশ। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের ওপরে। বাতাসে জলীয় বাষ্প থাকায়, তাপমাত্রা বাড়লে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও ক্রমশ বাড়বে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ দু-এক পশলা হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শনিবার থেকে বৃষ্টি বাড়তে পারে দক্ষিণবঙ্গে। শনি ও রবিবার দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা। শনিবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদে। উপকূলের জেলাগুলিতে বৃষ্টির সঙ্গে হালকা ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা। সোমবার বৃষ্টির পরিমাণ আরো বাড়তে পারে। শনিবার থেকে মঙ্গলবার মেঘলা আকাশ ও বৃষ্টির আবহাওয়া থাকবে বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের।


কেমন থাকবে উত্তরবঙ্গ?
উত্তরবঙ্গে শনিবার পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা অনেকটাই কম। পার্বত্য এলাকার পাঁচ জেলা দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারে বজ্রবিদ্যুৎসহ বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা। মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বেশি হবে। রবিবার থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে পারে উত্তরবঙ্গে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি বাড়লেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে মঙ্গলবার থেকে।


কলকাতার আকাশ:
কলকাতায় আংশিক মেঘলা আকাশ দেখা যাবে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের ওপরে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বেশি হবে আজ এবং আগামীকাল। সপ্তাহান্তে আবহাওয়ার পরিবর্তনের পূর্বাভাস রয়েছে। শনিবার থেকে সোমবার ফের বৃষ্টির আশঙ্কা। কলকাতায় আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের ২ ডিগ্রি বেশি। গতকাল বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের ১ ডিগ্রি বেশি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৬৩ থেকে ৯২ শতাংশ।     


আর কদিন পরেই পুজো। অক্টোবরের প্রথম থেকেই হয়তো শুরু হবে পুজোর কেনাকাটা। তার মধ্যে বৃষ্টি হলে ধাক্কা লাগবে পুজোর বাজারে। ফলে বেশি বৃষ্টি হলে আশঙ্কা থাকবে সেখানেও। 


আরও পড়ুন: বাঁশ-বেতের ঝাঁকায় সাজ মন্ডপের! ভোগের জন্যই ৪০ জনের টিম