মুম্বই: এক পেয়ার কা নাগমা হ্যায়…। ‘শোর’ ছবির এই গানই জীবন বদলে দিল রানাঘাটের রানু মণ্ডলের। নদিয়ার রানাঘাট স্টেশনের নিত্যযাত্রীরা প্রায়ই দেখতেন, এক মধ্যবয়স্ক মহিলা আপন মনে গান গেয়ে চলেছেন। ভবঘুরে রানুর গান মনেও ধরত অনেকের। তবে কেউ কখনও তা রেকর্ড করার কথা ভাবেনি। তবে একদিন এক যাত্রী, তাঁর গান রেকর্ড করে তা ফেসবুকে আপলোড করে দেয়। তারপর গোটাটাই যেন একটা অলীক স্বপ্ন। একটা একটা ক্লিকে রানু ছড়িয়ে পড়ছিলেন। লাখ লাখ লাইক, হাজার হাজার শেয়ারে রানাঘাটের রানু পৌঁছে যায় বি-টাউনেও। বলিউডের অনেক সঙ্গীতশিল্পীই রানুর কণ্ঠে গান শুনে অভিভূত হয়ে পড়েন। রানু হয়ে ওঠেন ‘লতাকণ্ঠী’ রানু।
ইতিমধ্যেই কলকাতার এক বড় পুজোর থিম সং গেয়েছেন রানু। যার ফলে, অল্প অল্প করে মিটছে এতদিনের অর্থাভাবও। রানু এখন রীতিমতো সেলিব্রিটি। আর রানুর জীবনের এই চড়াইয়ের পর তাঁর সঙ্গে দশ বছর পর দেখা করল মেয়ে সাথীও। মা ও মেয়ের এই মিলনের পর গল্পটার ইতি হতে হতেই আবার মোড় ঘোরানো ঘটনা ঘটে গেল। বলিউডে প্লেব্যাক করার সুযোগ পেয়ে গেলেন ‘উস্কোখুস্কো চুলের ভবঘুরে’ রানু। ‘হ্যাপি হার্ডি অ্যান্ড হীর’ ছবিতে সঙ্গীত পরিচালক হিমেশ রেশমিয়ার সুরে গান গাইলেন তিনি। ওই ছবিতে ‘তেরি মেরি কাহিনী’ নামের একটি গানে কণ্ঠ দিলেন রানু। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন খোদ হিমেশ রেশমিয়া, যা আবারও ভাইরাল।