মুম্বই: সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকেই বলিউডে চড়ছে উত্তেজনার পারদ। নেপোটিজম-ফেভারিটিজম নিয়ে তর্ক উঠেছে জমে। বলা ভাল, কাদা ছোড়াছুড়ি এখন চরমে। সুশান্তের মৃত্যুর পর, তাঁর আত্মহননের কারণ হিসেবে উঠে আসে অবসাদের কথা। কেন ডিপ্রেশন? বলিউডে কি কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন সুশান্ত ? কর্ণ জোহর, মহেশ ভট্টদের কাঠগড়ায় তোলেন কঙ্গনা রানাউত। এঁদের বিরুদ্ধে কথা না-বলার জন্য কঙ্গনা কটাক্ষ করেন স্বরা ভাস্কর, তাপসী পান্নুদেরও। তাঁদের 'বি-গ্রেড' অভিনেত্রী বলে উল্লেখ করেন কঙ্গনা। কথায় কথায় জল গড়িয়েছে বহুদূর।

এখন শিরোনামে সুশান্তের সোনচিড়িয়া অভিনেতা রণবীর শোরে ও পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপের ট্যুইট যুদ্ধ। মঙ্গলবার সকালে টুইটারে নাম না করেই বলিউডের তথাকথিত 'স্বাধীন' পরিচালকদের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ করেন শোরে। সেই টুইটের মোক্ষম উত্তর আসে অনুরাগ কশ্যপের তরফে। এর পরেই শুরু হয়ে যায় ট্যুইট-যুদ্ধ।

শোরে প্রথমে টুইট করেন, 'স্বাধীন চলচ্চিত্রের ধর্মযোদ্ধারা' আজকাল মূলস্রোতের পরিচালক-প্রয়োজকদের চাটুকারে পরিণত হয়েছেন। এঁরাই সেই সব লোক যাঁরা একটা সময় ২৪ ঘন্টা ‘সিস্টেম’কে কটাক্ষ করত শুধুমাত্র নজরে আসার জন্য যাতে তাঁরা বলিউডের ঝলমলে দরজা দিয়ে মূলস্রোতে ঢুকে পড়তে পারে। এটা কি দ্বিচারিতা নয়?'



জবাবে অনুরাগ কশ্যপ লেখেন, ‘তুমি কি সত্যি মন থেকে বলছ কথা গুলো রণবীর? যদি তাই হয়,দয়া করে একটু বিস্তারিত ভাবে বলো। কে কার চাটুকারিতা করছে?’
জবাবে শোরে বলেন, যা বলার পরিষ্কার করেই বলেছেন, আর কাদা ঘাঁটতে চান না ।

শোরে তাঁর নাম না নিলেও তর্কে নেমে পড়েন কাশ্যপ। ট্যুইট করেন, 'তোমার কি মনে হয় আমি কার চাটুকারিতা করি?' এই প্রসঙ্গে আরও একটু খোঁচা দিয়ে তিনি লেখেন, অতীতের ব্যথা থেকেই কি এইসব কথা বলছ?



তখন শোরে মনে করিয়ে দেন, কারও নাম তিনি কিন্তু করেননি। তাহলে অনুরাগ নিজেই বলুন তিনি কার চাটুকারিতা করেন। 'আমার অতীতের যন্ত্রণা বলতে তুমি ঠিক কী বলতে চাইছ?'



এভাবেই চড়তে থাকে ট্যুইট যুদ্ধের পারদ। শোরে এবার বলেন, চলচ্চিত্রের ক্রুসেডার বলতে কাশ্যপ নিজেকেই বা কেন মনে করছেন? আর অন্যরাও এখানে নিজের কথা বলতে পারে। নিজের দিকে ঝোল টেনে বরং অন্যদের তাচ্ছিল্য করছেন অনুরাগ, মন্তব্য শোরের।

তখন অনুরাগ লেখেন, 'আমার কথা বলা হচ্ছিল না? অসাধারণ!...তবে আমার উত্তর দেওয়া এখানে অর্থহীন '



এভাবেই সুশান্ত মৃত্যুর কারণের বিতর্কের জল গড়াতে গড়াতে পৌঁছেছে শোরে আর কাশ্যপের ঘরে। দেখা যাক, আগামী দিনে জল আর কোনদিকে গড়ায়।