গণধর্ষণের শিকার হওয়া পদ্মশ্রী পুরস্কার বিজয়ী সমাজকর্মী সুনীতা কৃষ্ণণ সম্প্রতি সলমনকে একটি চিঠিতে ধিক্কার জানান। তিনি লেখেন, আমি এই চিঠিতে ওই ব্যক্তির (সলমনের) নাম নিতে চাই না। কারণ আমার মনে হয় তাতে ওকে সম্মান দেওয়া হবে।
চিঠিতে সুনীতা বলেন, ঘটনাচক্রে ওই ব্যক্তি কত সহজেই নিজেকে ধর্ষিতা মহিলার সঙ্গে তুলনা টানলেন। এর থেকেই স্পষ্ট, উনি কত বাজে ভাবে ধর্ষণ শব্দ এবং ধর্ষণ-অপসংস্কৃতিকে লঘু করে দেখানোর চেষ্টা করেছেন। কঠোর সত্য হল, ভাল দেখতে বলে আর সামান্য প্রতিভার জোরে উনি আজ একজন তারকা হয়ে উঠেছেন। তাই তিনি নিজের ভাবমূর্তিকে খুব হাল্কাভাবে নেন। কিন্তু, মনে রাখা প্রয়োজন, খ্যাতির সঙ্গে দায়িত্ববোধ থাকাটা জরুরি।
সুনীতা যোগ করেন, ধর্ষণের সঙ্গে কোনওভাবে অবগত না হয়েই উনি একজন ধর্ষিতার সঙ্গে হওয়া অত্যাচার, যন্ত্রণা ও দাগের সঙ্গে ছবিতে নিজের চরিত্রের তুলনা টেনেছেন। আমি আজকাল দেখি, বহু পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে ধর্ষণ শব্দকে প্রতীকী অর্থে ব্যবহার করে থাকেন। একজন মহিলাকে চিনি। তিনি সম্প্রতি বলেছেন, আমাকে এই দিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে, ওই দিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। তিনি বোধহয় জানেনই না, এই মন্তব্যর কী প্রতিক্রিয়া হতে পারে!
সম্প্রতি, সুলতান ছবিতে শ্যুটিং করার সময় একজন কুস্তিগীরের চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে গিয়ে তাঁকে কী পরিমাণ শারীরিক কসরত করতে হয়েছে, তা বোঝাতে গিয়ে সলমন বলেন, কসরতের পর নিজেকে ধর্ষিতার মতো মনে হত। তাঁর এই মন্তব্যে দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ছেলের হয়ে ক্ষমা চেয়ে নেন বাবা সালিম খান। সুনীতার মতে, একজন বিকৃত মানুষই এধরনের মন্তব্য করতে পারেন। উনি (সলমন) একজন ‘নির্লজ্জ’।