মুম্বই: শুধু বলিউডেই নয়, বাংলা সহ আঞ্চলিক ছবি, হলিউড ও ইউরোপীয় ছবিতেও একইভাবে সফল ওম পুরী। টেলিভিশনেও সমানভাবে ঝলকেছে তাঁর প্রতিভা। জেনে নেওয়া যাক, তেমনই কিছু ছবির কথা, যেগুলি সমৃদ্ধ করেছিলেন তিনি।


‘আক্রোশ’- মুক্তি পায় ১৯৮০-তে। গোবিন্দ নিহালনি পরিচালিত প্রথম ছবি। এতে ওম পুরী এক গরিব চাষীর ভূমিকায়, যিনি নিজের স্ত্রীর খুনে অভিযুক্ত। গোটা ছবিতে তিনি কথা বলেন শুধু ফ্ল্যাশব্যাকে। ছবির শেষে নিজের সদ্যকিশোরী বোনকে খুন করেন তিনি, যাতে স্ত্রীর মত তাঁকে না ক্ষমতাবানদের হাতে ধর্ষিত হতে হয়। আর তারপরই তাঁর আকাশ ফাটিয়ে চিৎকার।

‘ভবানী ভবাই’- ১৯৮০-র এই ছবি পরিচালনা করেন কেতন মেহতা। ছবিতে গরিব এক কথকের চরিত্রে ছিলেন ওম পুরী। মুখ্য চরিত্রে ছিলেন স্মিতা পাটিল ও নাসিরুদ্দিন শাহ।

‘আরোহণ’- এটি ৮২-র ছবি, পরিচালনায় শ্যাম বেনেগাল। নক্সালবাড়ি আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে এগোয় গল্প। সিস্টেমের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমে জেলে যেতে হয় কৃষক ওম পুরীকে। এই ছবির জন্য তিনি সেরা অভিনেতার জাতীয় পুরস্কার পান।

‘অর্ধসত্য’- ১৯৮৩। পরিচালনায় গোবিন্দ নিহালনি। বম্বে পুলিশের এক আদর্শবাদী সাব ইন্সপেক্টরের চরিত্রে ছিলেন ওম পুরী। নিজের চারপাশের দুর্নীতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করেন তিনি। এই ছবির জন্যও ওম জাতীয় পুরস্কার পান।

‘জানে ভি দো ইয়ারোঁ’- ১৯৮৩-তেই মুক্তি পায় কুন্দন শাহ পরিচালিত এই ছবি। নিয়মভাঙা এই ছবি সর্বকালের ক্লাসিকের মর্যাদা পায়। বরাবর সিরিয়াস চরিত্রে অভিনয় করা ওম পুরী এতে কমিক চরিত্র করেন। দুর্নীতিগ্রস্ত জমি বাড়ির দালাল আহুজার ভূমিকায় অভিনয় করেন তিনি।

‘মির্চ মশালা’- ১৯৮৭। কেতন মেহতার এই ছবিতে সবকটি মুখ্য চরিত্র ছিল তথাকথিত প্যারালাল সিনেমার শ্রেষ্ঠ শিল্পীদের দখলে। নাসিরুদ্দিন শাহ, স্মিতা পাটিল, দীনা পাঠক, ওম পুরী ও রত্না পাঠক শাহ। ওম পুরী এই ছবিতে এক মশলা কারখানার বৃদ্ধ রক্ষকের ভূমিকায় অভিনয় করেন, কারখানা কর্মী এক যুবতীকে রক্ষা করতে গিয়ে যাঁর প্রাণ যায়।

‘সিটি অফ জয়’-সিটি অফ জয় উপন্যাসের ভিত্তিতে নির্মিত হয় এই ইংরেজি ছবি। হাজারি পাল নামে এক চাষীর চরিত্রে ছিলেন ওম পুরী, যিনি বেশি রোজগারের সন্ধানে পাড়ি জমান কলকাতায়।

‘ইন কাস্টডি’- ১৯৯৩-র এই ছবিতে ওম পুরী ছিলেন এক অধ্যাপকের ভূমিকায়। যিনি কলেজে পড়ান হিন্দি কিন্তু মনে প্রাণে ভালবাসেন উর্দুকে।

‘ইস্ট ইজ ইস্ট’- ৯৯-র এই ছবিতে তিনি ছিলেন প্রথম প্রজন্মের পাকিস্তানি জাহিদ খানের ভূমিকায়, যিনি লন্ডনে থাকেন, বিয়ে করেছেন এক ব্রিটিশ মহিলাকে। নিজের পুরনো ধ্যানধারণা ও ছেলেমেয়েদের আধুনিকতা- এই দুয়ের সমতা রক্ষার চেষ্টা করেন তিনি।

‘দ্য হান্ড্রেড-ফুট জার্নি’- ২০১৪-র এই ছবিতে এমন এক পরিবারের কর্তার ভূমিকায় অভিনয় করেন ওম পুরী, যারা ভারত থেকে ফ্রান্সে পাড়ি দেয়। সেখানে এক রেস্তোঁরা খোলে তারা, তা থেকে বাধে অশান্তি।