গত বছর ১১ ডিসেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত হন রিমো। তৎক্ষণাত তাঁকে ভর্তি করা হয় মুম্বইয়ের হাসপাতালে। কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে পরিবার থেকে অনুরাগীদের। অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করা হয় এবিসিডি টু-এর পরিচালককে। তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন প্রত্যেকে। ১৮ ডিসেম্বর তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়। সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে অনুরাগী, পরিজন থেকে পরিবারকে ধন্যাবাদ জানান কোরিওগ্রাফার। তিনি লেখেন, আমার কঠিন সময় পাশে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।
হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীন নাচের ভিডিও এবার সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন রিমো। ওই ভিডিও শেয়ার করে রিমো লিখেছেন, নাচ হলো জীবনের আনন্দ। যা হৃদয়কে আনন্দ দেয়। আমার চিকিৎসক দলকে ধন্যবাদ। আপানারা সেরা।
নতুন বছরের আগেও বেশ কিছু ছবি শেয়ার করেন রিমো। তিনি লেখেন, ২০২০ শেষ হয়েছে। এবার সময় নতুন বছরের। আমি শিখছি আমাদের কাছে থাকার মধ্যে শুধু জীবনটাই আছে। সুতরাং একে অপরকে ভালবাসুন। ঘৃণার কোনও প্রয়োজন। আরও একবার চিকিৎসকদের ধন্যাবদ জানাতে চাই। ওঁরা যেভাবে পাশে থেকেছেন, চিকিৎসা করেছেন তাতে আমি কৃতজ্ঞ। ধন্যবাদ আমার মা, ভাই, স্ত্রী, বোন, ছেলেকে।
রিমোর স্ত্রী লিজেল সলমন খানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তাঁর কথায় খারাপ সময় মানসিক শক্তি জুগিয়েছেন সলমন খান। তিনি লিখেছেন, আমি আন্তরিকভাবে সলমন খানকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তিনি যেভাবে মানসিক শক্তি দিয়েছেন তা অকল্পনীয়। মুশকিল আসান হয়ে তিনি দাঁড়িয়েছেন। অনেক ধন্যবাদ ভাই। আমার বন্ধু এব পরিবারকেও ধন্যবাদ।
এখনও পর্যন্ত তাঁর শেষ পরিচালিত ছবি স্ট্রিট ডান্সার থ্রিডি। যে ছবিতে ছিলেন বরুণ ধাওয়ান এবং শ্রদ্ধা কপূর। একাধিক ছবিতে কোরিওগ্রাফার হিসেবে দেখা যায় রিমোকে। কিক, জিরো, বাজিরাও মাস্তানি, বজরঙ্গি ভাইজান ছবির কোরিওগ্রাফার ছিলেন তিনি। ডান্স ইন্ডিয়া ডান্স, ডান্স প্লাস, ঝলক দিখলা জা-র মতো রিয়েলিটি শো-এর বিচারক ছিলেন তিনি।