সুশান্তর বাবার দায়ের করা এফআইআরে রিয়ার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা, আর্থিক প্রতারণার মতো অভিযোগ আনা হয়েছে। সুশান্তর মৃত্যু নিয়ে বিভিন্ন মহলে রিয়াকে নিশানা করা হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় রিয়াকে দায়ী করে বিভিন্ন পোস্ট করা হচ্ছে। তাঁর এই মিডিয়া ট্রায়ালের সঙ্গে বলিউডের সিনিয়র অভিনেত্রী রেখার মিডিয়া ট্রায়ালের তুলনা করা হচ্ছে।
১৯৯০-তে রেখার স্বামী মুকেশ অগ্রবাল আত্মহত্যা করেছিলেন। এই ঘটনার পর মিডিয়া ট্রায়ালের মুখে পড়তে হয়েছিল রেখাকে। ওই সময় তাঁকে তো ‘ন্যাশনাল ভ্যাম্প’ আখ্যাও দেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি গায়িকা শ্রীপদা সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন যেখানে রেখার বায়োগ্রাফি ‘রেখা: দ্য আনটোল্ড স্টোরি বাই ইয়াসের উসমান’-এ লেখা কিছু কথা অনুরাগীদের সামনে তুলে ধরেছেন। দেখে নেওয়া যাক-রেখার বায়োগ্রাফিতে কী লেখা হয়েছে।
১৯৯০-এর ২ অক্টোবর রেখার স্বামী মুকেশ স্ত্রীর দোপাট্টা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছিলেন। মুকেশের অবসাদে ভোগার কথা বিয়ের পর জানতে পারেন রেখা। স্বামীর আত্মহত্যার পর রাতারাতি কেউ কেউ ‘ভ্যাম্প’ আখ্যা দিয়ে বসেন তাঁকে। যাঁরা রেখার অনুরাগী ছিলেন, তাঁদের কেউ কেউ ঘৃণার চোখে দেখতে শুরু করেন অভিনেত্রীকে। শুধু তাই নয়, মুকেশের মা সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেছিলেন, ‘মেরে বেটে কো খা গই ও ডায়ন, ভগবান উসে কভি মাফ নেহি করেগা’। মুকেশের ভাই অনিল বলেছিলেন, ‘আমার ভাই রেখাকে খুব ভালোবেসেছিল। কিন্তু রেখা ওর সঙ্গে যা করছিল, তা ও বরদাস্ত করতে পারেনি। ওর নজর আমাদের সম্পদের ওপর রয়েছে?’
বলিউডে সুভাষ ঘাই থেকে শুরু করে অনুপম খের-রেখা নিয়ে অনেক কিছু বলেন। সুভাষ ঘাই বলেছিলেন, ‘রেখা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির মুখে কালি লেপে দিয়েছেন’। অনুপম খের বলেছিলেন, ‘রেখা এখন জাতীয় খলনায়িকা হয়ে গিয়েছেন’।
এই সব কথাবার্তার সঙ্গে চিন্ময়ী ট্যুইটে লেখেন, ‘১৯৯০-২০২০- ৩০ বছর একই মামলা, একই প্রতিক্রিয়া। এটা অবিশ্বাস্য যে এসব কাটিয়ে উঠলেন কী করে রেখা?’