বক্স অফিসে এই ছবি বিপুল সাফল্য পাওয়ার পর থেকে ইরফান এই ধরনের চরিত্রেই অভিনয় করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন। আজ এই অভিনেতার মৃত্যুর পর চম্বলেও শোকের ছায়া। সেখানকার লোকজন ইরফানের স্মৃতিচারণা করছেন।
একসময় চম্বলে ডাকাতদের একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল। একের পর এক ডাকাতের নামে গোটা চম্বল ভয়ে কাঁপত। গুলিগোলা চলা, খুনোখুনি ছিল নিত্য ঘটনা। সেরকমই এক ডাকাতের গল্প তুলে ধরা হয়েছিল ‘পান সিং তোমর’ ছবিতে। পান আগে সেনাবাহিনীতে ছিল। সে রাজপুতানা রাইফেলসের সদস্য ছিল। একইসঙ্গে সে দুর্দান্ত অ্যাথলিটও ছিল। ১৯৫০-৬০-এর দশকে দৌড়ে তার রেকর্ড ১০ বছর অটুট ছিল। কিন্তু এই অ্যাথলিটই পরিস্থিতির শিকার হয়ে ডাকাত বনে যায়। শুরু হয় জমির অধিকার নিয়ে লড়াই। পুলিশ ও সরকারি আধিকারিকদের কাছ থেকে কোনওরকম সাহায্য না পেয়ে একাই আট বছর ধরে লড়াই চালিয়ে যায় পান। সে একটি দল গড়ে জঙ্গলে আস্তানা গাড়ে। তখন তার ভয়ে পুলিশও কাঁপত। শেষপর্যন্ত অবশ্য ১৯৮১ সালের অক্টোবরে ১০ হাজার পুলিশ মিলে ঘিরে ধরে পানকে খতম করে।
এই ছবি জাতীয় পুরস্কার পায়। এই ছবিই ইরফানের জীবনে পরিবর্তন আনে। সেই কারণেই তিনি এই ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে চাইতেন।