মুম্বই:  সবসময়ই চাঁচাছোলা মন্তব্য করার জন্যে খ্যাতি এবং সমালোচনা দুটোই জুটেছে প্রবীণ অভিনেতা ঋষি কপূরের কপালে। ফের তিনি নেহা ধুপিয়ার শোয়ে গিয়ে খোলা মনে কথা বললেন। ক্ষোভ, রাগ উগড়ে দিলেন এই প্রজন্মের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সম্পর্কে। প্রসঙ্গত, মাসখানেক আগে বিনোদ খন্নার মৃত্যুর পর তাঁর শেষযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন এই প্রজন্মের কোনও তারকা অভিনেতা-অভিনেত্রী থেকে শুরু করে পরিচালক, প্রযোজক, সঙ্গীতশিল্পী এবং সুরকাররা। অথচ এই প্রজন্মের বহু তারকার সঙ্গেই কাজ করেছেন বিনোদ খন্না। তাঁর মতো একজন ব্যক্তিকে সম্মান করতে না পারার জন্যে এই প্রজন্মের তারকাদের লজ্জিত হওয়া উচিৎ বলেও নিজের টুইটে মন্তব্য করেন ঋষি। তাঁদের প্রত্যেককেই তথাকথিত তারকা বলেও কটাক্ষ করেন প্রবীণ এই অভিনেতা।

এবার ফের তাঁদের ক্ষমাহীন ভাষায় আক্রমণ করলেন ঋষি। অভিনেতা তাঁর বক্তব্য শুরু করেন, ছোট থেকে আমরা শিখেছি, তুমি কারও সুসময় পাশে থাকো না থাকো, দুঃসময় অবশ্যই পাশে থেকো। কিন্তু এখনকার ফ্যাশনেবল প্রজন্ম সেসব নিয়ে মোটেই চিন্তিত নন। বরং তাঁরা গলদঘর্ম হয়ে বিনোদ খন্নার শেষযাত্রায় না গিয়ে তাঁর স্মরণসভায় থাকাটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করেছেন। কারণ এয়ার কন্ডিশন হলে সেটার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে তাঁরা নিজেদের সাদা পোশাক, নিজেদের কালেকশনের ব্র্যান্ডেড সানগ্লাস, ব্যাগ দেখাতে পেরেছেন। আসলে এই সমস্ত তথাকথিত তারকাদের কাছে এয়ারপোর্ট ফ্যাশন এবং স্মরণসভার ফ্যাশন একই। নিজেদের কালেকশন শো করার জায়গা।

বর্তমান প্রজন্মের তারকাদের এয়ারপোর্ট ফ্যাশনকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তিনি। তাঁর কথায় এঁদের নিজস্ব কোনও সময় নেই, সবসময়ই দেখানোর চেষ্টা। এঁরা এতটাই নিজেদের দেখাতে মগ্ন যে রাতের বেলাও কালো চশমা পরেন। আসলে এগুলোর পিছনে রয়েছে কোনও পি আর সংস্থা, যাঁরাই আলোকচিত্রীদের খবর দিয়ে দেয়।

এমনকি ঋষির নিশানায় এসেছে বলিউডের অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানগুলোও। তাঁর কথায় এই সমস্ত অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানকে কখনওই গুরুত্ব দেওয়া উচিত নয়। কারণ, এখানে অধিকাংশই নিজের প্রতিভার ভিত্তিতে পুরস্কৃত হন না। দরাদরি করে পাওয়া এই পুরস্কারের আড়ালে চলে অন্য খেলা। এগুলো শুধু নাচ-গানের জায়গা এবং ঠাট্টা তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়।