কলকাতা: একটা ছবি হয়তো উপলব্ধি করায় অনেক কিছু.. অথবা বদলে দেয় আস্ত মানুষটাকেই! কিছুটা তেমনই হয়েছে ঋতাভরী চক্রবর্তী (Ritabhari Chakraborty)-র ক্ষেত্রে। ছবির চিত্রনাট্য এতটাই পছন্দ হয়েছিল যে চরিত্র হয়ে উঠতে অনেকটা ওজন বাড়িয়েছিলেন তিনি। কিছু শুধু তাই নয়, এই ছবি যেন উপলদ্ধিই বদলে দিয়েছে তাঁর। এতটাই, যে তিনি বিশ্বাস করেন, সৌন্দর্য্য সুস্থতায় আর মনে, কেবল আকর্ষণীয় গড়নেই নয়। তিনি ঋতাভরী চক্রবর্তী (Ritabhari Chakraborty)।
সামনেই মুক্তি পাবে অরিত্র মুখোপাধ্যায় (Aritra Mukherjee) পরিচালিত ঋতাভরী, আবির চট্টোপাধ্যায় (Abir Chatterjee) অভিনীত ছবি 'ফাটাফাটি' (Fatafati)। আর এই ছবি বলবে এমন এক নারীর সফর, যার পরিচয় আকর্ষণীয় চেহারা নয়, সৌন্দর্য্য যাঁর কাজে, মেধায় ও মনে। ফুল্লরার এই সফরকেই পর্দায় ফুটিয়ে তুলবেন ঋতাভরী।
সদ্য একটি অনুষ্ঠানে এবিপি আনন্দ (ABP Ananda)-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ঋতাভরী বলছেন, 'ফাটাফাটির শ্যুটিং শেষ হওয়ার ২ মাসের মধ্যেই আমার কাছে একটি বড় ওয়েব সিরিজের অফার আসে। কিন্তু সেখানে আমায় বলা হয়েছিল, ২ সপ্তাহের মধ্যে ওজন কমিয়ে ফেলতে হবে অনেকটা। প্রযোজকেরা একটা বিশেষ কড়া ডায়েট করতে বলেছিলেন আমায়, তাতে নাকি ২ সপ্তাহের মধ্যেই অনেকটা ওজন কমিয়ে ফেলা সম্ভব। কিন্তু আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, আমার শরীরকে আবার এমন একটা ঝড়ের মধ্যে দিয়ে নিয়ে যাব না। আমি ওজন কমাতে রাজি হয়েছিলাম কিন্তু সুস্থ আর স্বাভাবিক পদ্ধতিেত। ৬ মাস পর্যন্ত সময় চেয়েছিলাম ওজন কমানোর জন্য।'
ওজন বাড়ানোর পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঋতাভরীকে ট্রোলড হতে হয়েছে যথেষ্ট। এদিনের সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে সেসব কথাও। ঋতাভরী বলছেন, 'আমার একেবারেই মোটা চামড়া নয়। সোশ্যাল মিডিয়া ট্রোলিং আমি উড়িয়ে দিতে পারি না, আমার গায়ে লাগে। তবে যে সমালোচনা আমার উন্নতির জন্য প্রয়োজন, সেগুলোর বিরোধী নই আমি। বরং সেগুলো থেকে শিক্ষা নিই। তবে যদি কোনও ছবির জন্য চেহারার পরিবর্তন করতে হয়, সেটা পরিচালক বা প্রযোজকের সিদ্ধান্ত। তাঁরা তাঁদের শৈল্পীক চোখ দিয়ে দেখেই সেই চরিত্রটা বানিয়েছেন, সেটা রোগা হোক বা মোটা। সেই লুক নিয়ে অভিনেতা অভিনেত্রীকে কিছু বলা মানে সেটা ব্যক্তিগত আক্রমণ। তার মানে, শিল্পে সমস্যা নেই, সমস্যা মানুষের সেটাকে মেনে নিতে, সমস্যা মানসিকতায়। আর এটা কখনোই সঠিক সমালোচনা নয়।'
আরও পড়ুন: Madhavan on Vedaant: অলিম্পিক্সের জন্য প্রস্তুতি বেদান্তের, 'অভিনেতা হলেও সমর্থন করতাম', বলছেন মাধবন