কলকাতা: মোবাইল ফোনে শুভেচ্ছা জানাতেই ওপার থেকে উচ্ছসিত উত্তর এল। সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টেও সেই খুশির ঝলক। 'এবার বলতেই পারি, আমি ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্ণিয়া থেকে স্নাতক।' খুশি উপচে পড়ছে ঋতাভরী চক্রবর্তীর। শুধু কী তাই, নিজের বিষয়ে সেরার শিরোপাও ছিনিয়ে নিয়েছেন তিনি। বন্ধুদের সঙ্গে অনলাইন পার্টি, সাফল্য উৎযাপন, কেক.. জমজমাট ঋতাভরীর সাফল্য উদযাপন। 


২০২০ থেকে ২০২১, এক বছরে অনেক কঠিন সময় পেরিয়েছেন ঋতাভরী। নিজের শারিরীক অসুস্থতা থেকে শুরু করে করোনা পরিস্থিতি, মানসিকভাবে ভেঙে পড়েননি কখনোই। বরং সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সবাইকে ভালো রাখতে। কোভিড পরিস্থিতিতে গৃহবন্দি সাধারণ মানুষ যাতে মনের কথা বলে হাল্কা হতে পারে সেজন্য চালু করেছেন হেল্পলাইন। বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেছেন মানুষের পাশে থাকার। তবে আজকের লম্বা পোস্ট জুড়ে শুধুই খুশির কথা লিখলেন ঋতাভরী। করোনা পরিস্থিতিতে অনলাইনে পড়াশোনা শুরু করেছিলেন তিনি। ক্লাস চলার মধ্যেই অসুস্থ হলে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল হাসপাতালে। কিন্তু সেখান থেকেও ক্লাস চালিয়ে গিয়েছেন তিনি। ঋতাভরী লিখছেন, 'শারিরীক কষ্ট নিয়েও আমি আমার পরের ক্লাসের জন্য অপেক্ষা করতাম। আজ পুরস্কার পেয়ে মনে হচ্ছে পড়াশোনার ওপর আমার সেই ভালোবাসাটাই জিতেছে।' 


">


মেয়ের সাফল্যে খুশি মা শতরূপা সান্যালও। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, 'আজ ঋতাভরী UCLA( University of California ) থেকে গ্রাজুয়েট হল।দুটো সার্জারি, লকডাউনের মানসিক চাপ, সবকিছুকে মোকাবিলা করেই একটানা ক্লাস করত কাক ভোর থেকে! পুরো অনুষ্ঠানটাই ছিল অনলাইন। আমি উপস্থিত থেকে দেখলাম! মেয়ে এই বছরের সেরার পুরস্কার জিতল, সেই গৌরবের সাক্ষী রইলাম!' আর ঋতাভরী বলছেন, 'মায়ের মনে হয়েছিল আমি প্রথম হব। আমি এত কিছু ভাবিনি। কেবল স্নাতক হব এটা ভেবেই খুশি ছিলাম। জয়ের পুরস্কার হিসাবে আমি ১০০০ ডলারের সার্টিফিকেট পাচ্ছি। এছাড়া স্নাতক হওয়ার শংসাপত্র তো রয়েছেই। মা ভীষণ ভীষণ খুশি।'


ঋতাভরীর বিষয় ছিল 'অ্যাকটিং ফর ক্যামেরা প্রোগ্রাম'। সেই বিষয়েই প্রথম হয়েছেন তিনি। ঋতাভরী বলছেন, 'ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্ণিয়া থেকে হলিউডে একটি সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। আমার এই অভিজ্ঞতা আগে কখনও হয়নি। আমি চাই, আমার প্রোজেক্ট কালার্স অফ সাইলেন্স (Colours of Silence) হলিউড প্রোজেক্ট হিসাবে থাকুক। এই সুযোগটা হাতছাড়া করব না।'