কলকাতা: দীর্ঘ অসুস্থতা..চিকিৎসক নির্দেশ দিয়েছিলেন, ডায়েট নয়, পর্যাপ্ত খাবার খেয়ে সুস্থ হতে হবে তাড়াতাড়ি। তিনি নায়িকা, কিন্তু মনে হয়েছিল, সৌন্দর্য্যের আগে জরুরি সুস্থতা। ওজন বেড়েছিল, তারজন্য কটাক্ষও শুনতে হয়েছিল প্রচুর। ওজন ঝরানোর আগে তাই ভেবেছিলেন, নিজের এই সফরের কথা বন্দি করে রাখবেন কোনও শর্টফিল্মের ফ্রেমে। তারপরেই প্রস্তাব এল 'উইন্ডোজ'-এর তরফ থেকে। এ যেন তাঁরই গল্প, রাজি হয়ে গেলেন তিনি। ঘোষণা হল, 'ফাটাফাটি'-র নায়িকার নাম, ঋতাভরী চক্রবর্তী (Ritabhori Chakraborty)।


সোশ্যাল মিডিয়ায় মোটা হওয়ার জন্য ট্রোলড হতে হয়েছিল, কিন্তু এখন সেই চেহারাকেই ধরে রাখতে রীতিমতো কসরত করতে হচ্ছে তাঁকে! হাসতে হাসতে ঋতাভরী বললেন, 'আমার চেহারার ধরণই রোগা। এক বছরে দুটো অস্ত্রোপচারের ফলে চেহারায় একটু পরিবর্তন এসেছিল। আসলে চিকিৎসক বলেছিলেন ডায়েট বা শরীরচর্চায় নজর না দিয়ে তাড়াতাড়ি সুস্থ হতে। আমারও মনে হয়েছিল, আগে জরুরি সুস্থতা। সুস্থ হওয়ার পর ধীরে ধীরে ওজন ঝরাচ্ছিলাম। দুর্গাপুজোর পরেই 'উইন্ডোজ'-এর তরফ থেকে 'ফাটাফাটি'-র অফারটা পেলাম। রাজি থাকলেও করোনার কারণে শ্যুটিং পিছিয়ে গিয়েছে। এপ্রিল থেকে শ্যুটিং শুরু হবে। আমায় চিত্রনাট্যের জন্য ওজন বাড়াতে হচ্ছে এখন।'


আরও পড়ুন: ছোটবেলার সঙ্গে জড়িয়ে আছে ফেলুদা, শ্যুটিং শুরু করে স্মৃতিচারণ সৃজিতের


তন্বী ঋতাভরীর ডায়েটে তো নজর ছিল সবারই, কিন্তু ওজন বাড়াতে কী ডায়েট মেনে চলছেন নায়িকা? অভিনেত্রী বলছেন, 'ক্লাস ১১-১২ থেকে আমি ভাত, চিনি ছেড়ে দিয়েছি। যে যে খাবারে মোটা হয়, কিছুই খেতাম না। ভালো ও লাগত না। এখন আমি দুবেলাই ভাত খাচ্ছি। কফিতে চিনি খাওয়া অভ্যাস নেই। সেটাও খাচ্ছি মাঝে মধ্যে। নিজেরই অবিশ্বাস্য লাগে মাঝে মাঝে। ওয়ার্ক আউট করতে খুব ভালোবাসি আমি। রোজ অন্তত ১ ঘণ্টা শরীরচর্চা করতাম। এখন সেটা কমিয়ে ১৫ মিনিট করছি মাত্র। খাবার পরে রোজ একটু করে হলেও মিষ্টি খাচ্ছি। তবে শরীরচর্চা একেবারে ছেড়ে দিই নি। কারণ শ্যুটিং শেষ হওয়ার পরে ওজন কমাতে গেলে অসুস্থ হয়ে পড়ব। প্রথমদিকে শুধু হাঁটছিলাম। এখন অল্পসময় হলেও ট্রেডমিলে শরীরচর্চা করছি।'