কলকাতা: তাঁর পুজোর ব্যস্ততা শুরু হয়ে যাবে তৃতীয়া থেকেই। কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় পুজো উদ্বোধনে তাঁকে দেখতে চান যে মানুষ। তাই নায়িকাকে পুজোর প্রথম দিকটা ছুটে বেড়াতে হবে কলকাতার এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত। বিজ্ঞাপনী সংস্থার সঙ্গে চুক্তি থেকে শুরু করে পুজোয় পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো.. এসব একা হাতে সামলাতে সত্যিই দশভূজা অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী (Ritabhari Chakraborty)। এবিপি লাইভের (ABP Live) সঙ্গে পুজো পরিকল্পনার কথা ভাগ করে নিলেন অভিনেত্রী। 


কোনও উৎসবই স্কুলের খুদেদের ছাড়া কাটে না ঋতাভরীর। অভিনেত্রী বলছেন, 'চতুর্থীর দিনটা আমার স্কুলের ছোটদের সঙ্গে কাটাব। ওদের জন্য নতুন জামা কিনেছি, সঙ্গে ছোট ছোট সাজগোজের জিনিস। পুজোর আগেই ওগুলো ওদের হাতে তুলে দেব, সঙ্গে খাওয়া দাওয়া তো রয়েছেই। ওদের জামা থেকে সমস্ত জিনিস নিজের হাতে কিনেছি আমি।'


তৃতীয়া থেকে বিভিন্ন জায়গায় পুজো উদ্বোধনে যেতে হবে, কিন্তু তার মধ্যেও সপ্তমীতে পরিবারের সবার সঙ্গে রাতের খাওয়া সারবেন ঋতাভরী। নায়িকা বলছেন, 'আমি পুজোর সময় রান্না করতে ভীষণ ভালোবাসি। তবে এইবছর এত ব্যস্ততা, মনে হয় না সময় পাবো। আর খাওয়া আয়োজনের ব্যাপারে আমি ভীষণ খুঁতখুুঁতে। তাই এইবছর ঠিক করেছি বাইরেই খাওয়া দাওয়া সারব।'


আরও পড়ুন: Dev Exclusive: সাংসদ হল পাচ্ছে না? পাশে না দাঁড়িয়ে সবাই এক সময় হেসেছে : দেব


এইবছর দমদম দক্ষিণপাড়ার পুজোর মুখ ঋতাভরী। অভিনেত্রী জানালেন, এই বছর সেখানে সন্ধিপুজোয় সেখানে উপস্থিত থাকবেন তিনি। ভার্চুয়াল থেকে শুরু করে সেখানে উপস্থিত মানুষ, প্রায় ১০ হাজার মানুষের সঙ্গে সন্ধিপুজো করবেন তিনি। নবমীকে একটি বিপণী সংস্থার পারিবারিক পুজোয় হাজির থাকবেন ঋতাভরী। 


পুজো মানেই কেনাকাটা। ঋতাভরী বলছেন, 'আমি শপিং করতে ভীষণ ভালোবাসি। কোনও পোশাক ভালো লাগলে একই ডিজাইনের পোশাক বিভিন্ন রঙের কিনে ফেলি। এখনও পুজোয় সবাইকে উপহার দেওয়া শেষ করতে পারিনি। আমি বেশিরভাগ শপিং অনলাইনে সারলেও মা, দিদা, পাপা সবার পোশাক কিনতে হবে অফলাইনেই। দোকান থেকে পোশাক কেনা না হলে ওঁদের ঠিক মন ভরে না।'


প্রাচ্য থেকে পাশ্চাত্য, সব সাজেই নজরকাড়া ঋতাভরী। এবার পুজোয় নায়িকার স্টাইল স্টেটমেন্ট কী? ঋতাভরী বললেন, 'আমি ভীষণ শাড়ি পরতে ভালোবাসি। তবে পুজোর সময় দূরে কোথাও যেতে হলে আনারকলি সালোয়ার কামিজ আমার প্রথম পছন্দ। হাঁটাচলা বেশি হয় বলে পুজোর সময় হিল পরি না কখনও। ফ্ল্যাট জুতোই আমার প্রথম পছন্দ। আর সমস্ত পোশাক অবশ্যই সুতির হতে হবে। পুজোর সমস্ত সাজেই জরুরি হল আরাম। গরম আর ঘোরাঘুরিকে মাথায় রেখে সবসময় আরামদায়ক পোশাক বাছি আমি।'


পুজোয় যতই কেনাকাটা হোক, বিশেষ মানুষের থেকে উপহার সবসময়েই বিশেষ। এইবছর পুজোয় তথাগতর (চট্টোপাধ্যায়) থেকে কী উপহার পেলেন ঋতাভরী? লাজুক হেসে নায়িকার উত্তর, 'একটা সবুজ রঙের ডিজাইনার শাড়ি দিয়েছে তথাগত। তবে পুজোয় কবে সেটা পরব এখনও ঠিক করিনি।'