কলকাতা: এই অভিনেত্রীর পায়ের তলায় সর্ষে। একটু ফুরসত পেলেই তিনি বেরিয়ে পড়েন ছুটি কাটাতে। তবে কাজের গন্তব্যই যদি হয় ছুটি কাটানোর জায়গা? বিষয়টা শ্রুতিমধুর হলেও, সহজ যে নয়, তা টের পেয়েছেন ঋতাভরী চক্রবর্তী (Ritabhari Chakraborty)। থাইল্যান্ডের সমুদ্রতীরে ফটোশ্যুটে গিয়েছিলেন তিনি। ছবিতে তাঁকে মোহময়ী দেখালেও নেতাৎ মসৃণ ছিল না শ্যুটিংয়ের অভিজ্ঞতা। এবিপি লাইভের (ABP Live)-এর সঙ্গে সেই গল্প ভাগ করে নিলেন খোদ অভিনেত্রী।
দীর্ঘ ৫ বছর ধরে একটি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি রয়েছে ঋতাভরীর। সেই সংস্থা থেকে প্রকাশিত ক্যালেন্ডারের মুখ তিনি। আর ২০২৩ সালের ক্যালেন্ডারের জন্য় ফটোশ্যুট করতে ঋতাভরী পাড়ি দিয়েছিলেন থাইল্যান্ড। বহু জায়গায় ঘুরেছেন তিনি, তবে এই প্রথম থাইল্যান্ডে গেলেন নায়িকা। বিদেশভূমির সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ ঋতাভরী। শুরু হল শ্যুটিং।
আরও পড়ুন: Top Entertainment News: শিরোনামে সিদ্ধার্থ কিয়ারার বিয়ে, জন্মদিনে স্মরণে ঐন্দ্রিলা, বিনোদনের সারাদিন
প্রথম কয়েকটা দিন ঠিকঠাকই গেল। গোটা শ্যুটিংটাই আউটডোরে। পাহাড় ও সমুদ্রকে পিছনে রেখে দুর্দান্ত সব লোকশন বেছেছিলেন চিত্রগ্রাহক সোমনাথ রায়। কিন্তু কয়েকটা দিন পরেই ছন্দপতন। ঋতাভরী বলছেন, ' প্রথম প্রথম বেশ আরামদায়ক আবহাওয়া ছিল থাইল্যান্ডে। হঠাৎ শুরু হল বৃষ্টি। আকাশ কালো করে সারাদিন প্রায় ঝিরঝির ঝমঝম। সঙ্গে প্রচণ্ড হাওয়া। সবাই শীতের পোশাক পরে রয়েছে কিন্তু আমায় তো কস্টিউমে থাকতেই হবে। ঝড়ের মতো হাওয়ায় উড়ে যাচ্ছে পোশাকের ঘের। তাতে ছবি সুন্দর উঠলেও ত্বকে বিঁধছিল ঠাণ্ডা হাওয়া। একটা সময় তো বৃষ্টি থামতেই চায় না। বৃষ্টিতে ভিজেই পোজ দিচ্ছি আবার ছায়ায় এসে পোশাক শুকিয়ে নিচ্ছি।'
ছবি সুন্দর হলেও ঠাণ্ডায় শ্যুটিংয়ের খেসারত দিতে হয়েছিল ঋতাভরীকে। ঠাণ্ডা লেগে জ্বর এসে যায় নায়িকার, সঙ্গে অন্যান্য শারীরিক সমস্যাও। কড়া ওষুধ খেয়ে বাকি শ্যুটিং শেষ করেন। তবে ঠাণ্ডা লাগলেও নাকি জল থেকে দূরে ছিলেন না ঋতাভরী। অভিনেত্রী বলছেন, 'পরের দিন সমুদ্রের জলে শরীর ডুবিয়ে শ্যুটিংয়ের পরিকল্পনা। সবাই বারণ করেছিল। কিন্তু আমি ভীষণ জল ভালবাসি। ওষুধ খেয়েই জলে নেমে পড়লাম। এমনকি শ্যুটিং ছাড়াও আমি কয়েকবার জলে নেমেছি। নীল সবুজ মিলিয়ে এত সুন্দর জল, লোভ সামলানো কঠিন বই কি!'